পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৪৮
রাজর্ষি রাধাকিশোর

জন্য, অপরটি সভার সভাপতি রবীন্দ্রনাথের জন্য নির্দ্দিষ্ট ছিল। সভারম্ভে রবিবাবুকে সভাপতি পদে বরণ করিয়া মহারাজ রাধাকিশোরমাণিক্য সর্ব্বসাধারণের সমসূত্রে আসন গ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ সসঙ্কোচে মহারাজকে নির্দ্দিষ্ট আসনে বসিতে অনুরোধ করিলে, মহারাজ বলেন—‘সাহিত্য ক্ষেত্রে আপনার স্থান সর্ব্বোপরি, আপনি সাহিত্যের রাজা, আমি আপনার ভক্ত বন্ধুমাত্র, এ উচ্চ মঞ্চ আমার স্থান নহে।’ ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতি রবীন্দ্রনাথের হৃদয়ের গভীর আকর্ষণের কারণ তিনি সেদিনকার অভিভাষণে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করিয়া ছিলেন। তাহারই কিয়দংশ উদ্ধৃত করিতেছি—

 ‘এই ত্রিপুর রাজ্যের রাজচিহ্নের মধ্যে সংস্কৃত বাক্য অঙ্কিত দেখিয়াছি “কিল বিদুর্বীরতাং সারমেকম্” বীর্য্যকেই সার বলিয়া জানিবে। এই কথাটি সম্পূর্ণ সত্য। পার্লামেণ্ট সার নহে, বাণিজ্যতরী সার নহে, বীর্য্যই সার। এই বীর্য্য দেশ কাল পাত্র ভেদে নানা আকারে প্রকাশিত হয়। কেহ বা শাস্ত্রে বীর, কেহ বা ত্যাগে বীর, কেহ বা ভোগে বীর, কেহ বা ধর্ম্মে বীর, কেহ বা কর্ম্মে বীর।’

 “একবার কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে বিজ্ঞানাচার্য্য জগদীশচন্দ্র, রবিবাবু প্রভৃতি বন্ধুদিগকে স্বীয় গবেষণার ফলাফল দেখাইবার বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন। তখনও রাধাকিশোরের সহিত জগদীশবাবুর সাক্ষাৎ পরিচয় ছিল না। ১৯০০ খৃষ্টাব্দের বিষয়। রবীন্দ্রনাথ আমাকে জানাইয়াছিলেন ‘আচার্য্য জগদীশ