পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৫০
রাজর্ষি রাধাকিশোর

এবং পরীক্ষার নয়নে তাঁহার প্রতি দৃষ্টি করিতেছিলেন। তখন মহারাজ একখানি পুঁথি লইয়া যন্ত্রের সম্মুখে ধরিয়া দিলেন এবং ডাক্তার বসুকে অনুরোধ করিলেন, ‘আপনি এক্ষণে shock দিয়া দেখুন কিন্তু respond করিতেছে না।’ তৎপর মহারাজ বইখানি উল্টাইয়া দিলেন এবং shock দিতে অনুরোধ করিলেন। তখন ঠিক যন্ত্রে respond করিয়া গেল। জগদীশ বাবু পুলকিত হইয়া গেলেন এবং বলিলেন, ‘মহারাজ, আপনি বুঝিতে পারিয়াছেন বুঝিতে পারিলাম। Lord Elgin-কে আমি বুঝাইতে পারি নাই, আমার এম. এ. ক্লাসের ছাত্রবর্গও বুঝিতে পারে না। আপনি আমাকে অবাক্ করিয়া দিলেন।

 “তারপর একদিন রবিবাবুর তলবে জগদীশ বাবুর গৃহে উপস্থিত হইয়া জানিতে পারিলাম, প্রাইভেট্ কার্য্যে প্রেসিডেন্সি কলেজের বিজ্ঞানাগার ব্যবহার করা কর্ত্তৃপক্ষের অভিপ্রেত নহে। রবিবাবু ইহাতে মর্ম্মান্তিক বেদনা অনুভব করিলেন। বিশেষতঃ বুঝিলেন, জগদীশ বাবুর নিজের বিজ্ঞানাগার না হইলে তাঁহার বিজ্ঞানের নূতন তথ্য আবিষ্কারের পথ চিরতরে বন্ধ হইয়া যাইবে। পরামর্শ হইল ২০,০০০ হাজার টাকা সংগ্রহ করিতে হইবে। ১০,০০০ হাজার টাকা রবিবাবু নিজে আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের নিকট হইতে সংগ্রহ করিবেন, বাকি টাকার জন্য ত্রিপুর-রাজ-দরবারে তিনি স্বয়ং ভিক্ষা করিতে উপস্থিত হইবেন।

 “মহারাজ রাধাকিশোর তখন কলিকাতায় উপস্থিত