পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৫১
রাজর্ষি রাধাকিশোর

ছিলেন। কবিকে ভিক্ষুক বেশে আসিতে দেখিয়া বলিলেন ‘এ বেশ আপনাকে সাজেনা, আপনার বাঁশী বাজানই কায, আমরা ভক্তবৃন্দ ভিক্ষার ঝুলি বহন করিব। প্রজাবৃন্দের প্রদত্ত অর্থই আমাদের রাজভোগ যোগায়। আমাদের অপেক্ষা জগতে কে আর বড় ভিক্ষুক আছে? এ ভিক্ষার ঝুলি আমাকেই শোভা পায়, আমাকে ইহা পূর্ণ করিতে হইবে।’ তখন যুবরাজ বীরেন্দ্রকিশোরের বিবাহ উপস্থিত। মহারাজ বলিলেন—‘বর্ত্তমানে আমার ভাবী বধূমাতার দু এক পদ অলঙ্কার না-ই বা হইল, তৎপরিবর্ত্তে জগদীশ বাবু সাগর পার হইতে যে অলঙ্কারে ভারত মাতাকে ভূষিত করিবেন, তাহার তুলনা কোথায়?’

 ‘জগদীশ বাবুর বিজ্ঞানাগারের ব্যবস্থা হইল। তৎপর জগদীশবাবু বৈজ্ঞানিক সমাজে স্বীয় গবেষণা প্রচারের বাসনায় বিলাত যাত্রা করেন। তথায় নানা কারণে তাঁহার আবিষ্কারের প্রতিষ্ঠা স্থাপনে বিলম্ব হইতে লাগিল। অথচ ছুটি ফুরাইয়া আসায় ভগ্নমনোরথ হইয়া তাঁহাকে ফিরিতে হইত এমনি অবস্থায় রাধাকিশোরের ঐকান্তিক উৎসাহ বাণী এবং ২০,০০০ হাজার টাকার অর্থ সাহায্য লাভে, বিলাতের বৈজ্ঞানিক সমাজের জয়মাল্য লইয়া দেশে ফিরিলেন। সে কাহিনী স্বয়ং আচার্য্য জগদীশ বাবু বিজ্ঞান মন্দিরের অভিভাষণে সুস্পষ্ট ভাষায় প্রকাশ করিয়াছিলেন। নীরব দাতা রাধাকিশোরের বিশেষ অনুরোধে একথা আমরা ছাড়া কেহই জানিত না—অদ্য