পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৫৬
বীরেন্দ্রকিশোর

ও অন্যান্য হর্ম্ম্যের উচ্চভাগগুলি কেবল যেন সহরের সাক্ষীস্বরূপ গভীর অরণ্যের মধ্যে আত্মগোপন করিতে পারিতেছে না। এইটিই কুঞ্জবনের লুক্কায়িত মহিমা, ফতেপুর শিক্রীতে ইহার নাম গন্ধও নাই, প্রকৃতির এইরূপ পটপরিবর্ত্তনে কুঞ্জবনের জোড়া আছে কিনা জানি না!

 নিপুণ চিত্রকর বীরেন্দ্রকিশোর সেই লুক্কায়িত মহিমার কুঞ্জবনে একটি অপূর্ব্ব প্রাসাদ নির্ম্মাণ করিয়া ইহার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করিলেন। উদয়পুরের জলপ্রাসাদের যেরূপ ঐতিহাসিক খ্যাতি, কুঞ্জবনের শৈলপ্রাসাদেরও সেইরূপ একটি অপূর্ব্ব নৈপুণ্য রহিয়াছে যাহা কালে প্রসিদ্ধি লাভ করিবে। এই প্রাসাদের পরিকল্পনায় শিল্পী একটি চমকপ্রদ কৌশল ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। প্রাসাদটি দেখা মাত্রই মনে হয় ইহা দ্বিতল অথচ আসলে তাহ নহে। সূর্য্যের উদয়াচল অভিমুখী বড় প্রকোষ্ঠটি স্পষ্ট দ্বিতল অথচ ভিতরের কোঠা একতালা। এইরূপ একটি বিস্ময়ের বেষ্টনে যেন এই শোভন হর্ম্ম্য আবৃত হইয়া রহিয়াছে, ছাদপ্রকোষ্ঠে বিশালমুকুরে দূরের উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের চিত্র প্রতিফলিত করিয়া ইহা যেন অচ্ছেদ্য সম্বন্ধ স্থাপনে যত্নশীল।

 বনপ্রাসাদের অনতিদূরে একটি সুগোল শৈলশিখরে শ্বেত বাঙ্গলো প্রস্তুত হইয়াছিল, শিক্রীর প্রাসাদের নীচে নীচে যেমন আবুল ফজলফৈজীর বাসগৃহ দৃষ্ট হয় বনপ্রাসাদের অনতিদূরে এই মর্ম্মরকল্পভবনেও মহারাজের বিশিষ্ট অতিথি কখনো কখনো বাস করিতেন। সেই শৈলশিখরে উঠিলেই পৃথিবী যে গোল