পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৫৮
বীরেন্দ্রকিশোর

পর্ব্বত সজ্জিত হইত এবং নিজে বসিয়া থাকিয়া রাজার হৃদয় লইয়া এই ভোজন উৎসবের তৃপ্তি আস্বাদন করিতেন।

 তাঁহার রাজত্বকালে রাজ্যের প্রসিদ্ধ প্রসিদ্ধ বিভাগে উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়া শিক্ষা বিস্তারের প্রচুর সহায়তা করিয়াছে। পূর্ব্বে রাজধানীস্থ উমাকান্ত একাডেমীতে দূর প্রান্ত হইতে ছাত্রেরা পাঠের জন্য সমবেত হইত কিন্তু এই সকল বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তাহাদের ঘরের কোণে শিক্ষার আলয় পাইয়া ইহাদের মধ্যে যে শিক্ষা বিস্তারের প্রবল সাড়া জাগিয়াছে তাহা বলাই বাহুল্য।

 এতকাল যাবৎ ত্রিপুরা রাজ্য বিদেশী ব্যবসায়ীর নিকট একরূপ terra incognito ছিল। পি. কে. দাসগুপ্তের মন্ত্রিত্বকালে মহারাজ বহুকালের সে আবরণ ঘুচাইয়া দিয়া বিদেশী ব্যবসায়ীর অর্থ আকর্ষণের পথ করিয়া দিলেন। ডাঃ ভট্টাচার্য্যের পরীক্ষার ফলে ত্রিপুরার মৃত্তিকা চা বাগানের পক্ষে উপযোগী বিবেচিত হওয়ায়, এগার বৎসরের মধ্যে চল্লিশটি বাগানের সৃষ্টি হইয়া প্রায় কোটি টাকার মত অর্থ রাজত্ব মধ্যে টানিয়া আনিল। ইহার দ্বারা রাজত্বের আয় যেমন বাড়িয়াছে অপর দিকে বহু শ্রমিকের অন্ন সংস্থানেরও উপায় হইয়াছে।

 To quote from “Tea Cultivation in Tripura” by Mr. Girija Mohan Sanyal, the Managing Director of Harishnagar Tea Co., Ltd.—

 “In the meantime an enthusiastic young chemist of Tripura, my friend Dr. A. C. Bhattacharjee, Ph. D.