পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৬১
বীরবিক্রমকিশোর

 মহারাজ সদ্‌গুণরাশিতে ভূষিত এবং প্রতিভাবলে বলীয়ান্। তিনি যুগানুযায়ী নূতনের উপাসক, তাই বলিয়া অতীতের বৈরী নহেন, ইতিহাসের মর্য্যাদা বোধে তাঁহার অন্তর উদ্দীপ্ত।

 রাধাকিশোরমাণিক্যের ন্যায় তিনি যেমন একদিকে বিরাট স্থপতির স্বপ্নে ভরপুর অপরদিকে সাহিত্যানুরাগে তেমনি বঙ্গ সাহিত্যের প্রতি শ্রদ্ধাবান্। কয়েক বৎসর পূর্ব্বে যখন রবীন্দ্রনাথের সত্তর বৎসর পূর্ণ হওয়ায় জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠিত হয় তখন মহারাজ বয়সে নবীন হইলেও সেই মহতী সভার হোতার কার্য্যে বৃত হন। কলিকাতা মহানগরীর টাউন হলের দ্বিতলে এই বিরাট সম্মিলন চলিতেছিল। দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা মহারথিগণের মধ্যে মহারাজ দণ্ডায়মান্ হইয়া নিঃসঙ্কোচে কবিসম্রাটকে যে ভাবে অভিনন্দন জানাইয়াছিলেন তাহা ভাবিলে বিস্মিত হইতে হয়।

 সাহিত্য রচনায় কোথায় অভিনবত্ব রহিয়াছে মহারাজের চক্ষু এড়াইবার উপায় নাই, এইরূপ চিত্র শিল্পেও তাঁহার দৃষ্টি অসাধারণ। চিত্রকরের উত্তম তুলির টানে যেখানেই নৈপুণ্য প্রকাশ পাইয়াছে, মহারাজের দৃষ্টি সেইখানে অনায়াসে যাইয়া পড়িয়াছে। সঙ্গীত জগতেও সেই একই কথা। যান্ত্রিক অথবা কণ্ঠ সঙ্গীতে তাঁহার নিকট শিল্পীর সাধনা বিনা বাঁধায় ধরা দিয়া থাকে। ভাবিলে অবাক হইতে হয় এই স্বল্প সময়ের মধ্যে মহারাজ এমন দুর্ল্লভ শক্তি অর্জন করিলেন কোথা হইতে? বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা দ্বারা যে শক্তি ডিগ্রীধারী