পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৬৪
বীরবিক্রমকিশোর

হন, জার্ম্মাণ প্রেসিডেণ্ট মহারাজকে তাঁহার অটোগ্রাফ সহ চিত্র উপহার দেন। অলিম্পিক ক্রীড়া দর্শনকালে পরবর্ত্তী সময়ে ১৯৩৬ খৃষ্টাব্দে মহারাজ হের হিটলারের সহিত অর্দ্ধঘণ্টার ঊর্দ্ধকাল আলাপের সৌভাগ্য লাভ করেন, ফুরারেরও চিত্র অটোগ্রাফ্‌সহ জার্ম্মান কন্সাল কর্ত্তৃক মহারাজের নিকট উপহার স্বরূপ প্রেরিত হয়। মহারাজের সহিত আলাপকালে ফুরার ভারতীয় খেলোয়াড়ের সাফল্য কামনা করেন।

 ১৯৩৯ খৃষ্টাব্দে বর্ত্তমান সমর ঘোষিত হইবার পূর্ব্বেই মহারাজ দেশে ফিরিবার পথে আমেরিকা হইতে বিলাত আসিয়াছিলেন। যুদ্ধ ঘোষিত হওয়ার সম্ভাবনায় তিনি পুনঃ আমেরিকা হইয়া পৃথিবী ঘুরিয়া এই ভীষণ যুদ্ধের বিভীষিক মধ্যে দেশে প্রত্যাবর্ত্তন করেন। তাঁহার জন্য রাজ্য-শুদ্ধ কি এক আশঙ্কার কালমেঘ ঘনীভূত হইয়াছিল, কিন্তু তিনি প্রফুল্ল বদনে বিধাতার অপার কৃপায় বিপদরাশি মথিত করিয়া দেশমাতৃকার কোলে ফিরিয়া আসিয়াছেন। আমেরিকা থাকাকালে প্রেসিডেণ্ট রুজভেল্ট কর্ত্তৃক পরম সমাদরে অভ্যর্থিত হন এবং রাষ্ট্রনায়কের সহিত আলাপে প্রীতিলাভ করেন। ‘To my Friend’ উল্লেখে autograph যুক্ত স্বীয় চিত্র প্রেসিডেণ্ট রুজভেল্ট তাঁহাকে উপহার প্রদান করেন। তাঁহারই পূর্ব্বপুরুষ ত্রিলোচনের রাজসূয় যজ্ঞে আমন্ত্রিত হইয়া যুধিষ্ঠিরের দর্শন সৌভাগ্য লাভ করার কথা ইতিহাসের প্রারম্ভে বর্ণিত হইয়াছে। দ্বাপরান্তে কলিযুগে সেই পুণ্যশ্লোক নৃপতির বংশধর