পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৭৩
বীরবিক্রমকিশোর

আবালবৃদ্ধ নরনারীকে এই সময়ে আশ্রয় এবং আহার প্রদান করিয়া যে আত্মপ্রসাদ লাভ করিতেন—তাহা প্রজাবৎসল নৃপতিরই লভ্য। অন্তরের কোমল বৃত্তির প্রকাশ মহারাজের দৈনন্দিন ছোট ছোট কার্য্যেও অহরহ সকলে অনুভব করিয়াছেন।

 পূর্ব্বেই বলা হইয়াছে ১৯৩৯ খৃষ্টাব্দে ইউরোপখণ্ডে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অবতারণা হয়। ইহা শেষ পর্য্যন্ত সমগ্র পৃথিবীতে ব্যাপক হইয়া পড়ে। মহারাজ বীরবিক্রম আমেরিকা অবস্থান কালেই ত্রিপুরারাজ্য যাহাতে মিত্রপক্ষে যোগদান করে—তদ্বিষয়ে নির্দ্দেশ দিয়াছিলেন। ১৯৪১ খৃষ্টাব্দের শেষভাগে যখন জাপান মিত্রপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎগতিতে দেশের পর দেশ জয় করিয়া বর্ম্মা দেশ অধিকার করিল এবং পূর্ব্বভারতে হানা দিল—তখন ত্রিপুরা রাজ্যের এক শঙ্কটময় সময় গিয়াছে। ভারত রণভূমিতে পরিণত হইল। ত্রিপুরা রাজ্যের ভৌগোলিক অবস্থিতিতে প্রত্যেক মুহূর্ত্তেই বিপর্য্যয়ের মধ্যে পতিত হইবার আশঙ্কা রাজ্যবাসীদের সন্ত্রস্ত করিয়া রাখিয়াছিল।

 তৎকালে বহুদর্শী সেনানায়কের ন্যায় প্রজাসাধারণের কর্ত্তব্য ও রাজ্যের সংহতি রক্ষা কল্পে সর্ব্বসাধারণের সহযোগিতা ও সাহায্য লাভের নিমিত্ত মহারাজ বীরবিক্রম একটি ঘোষণায় বিবৃত করেন। রাজ্যের ভিতরে ও বাহিরে রাস্তা নির্ম্মাণের জন্য উপকরণ এবং সৈন্যদের বাসস্থান নির্ম্মাণোপযোগী কাঠ,