বৎসর যোগ করিলেই ঐ সময়ের ধারণা করিতে পারা যায় কারণ দ্রুহ্যু হইতে যুধিষ্ঠিরের সমসাময়িক ত্রিলোচন চারি পুরুষ।
কাল বিচার দ্বারা ত্রিপুরা রাজ্যের প্রাচীনত্ব অনুমান করা যায়। শেষোক্ত যুরুপীয় মত গ্রহণ করিলেও আদিপুরুষ দ্রুহ্যুর আবির্ভাব কালে পৃথিবীর মানচিত্রে কি দেখা যায়? যে যুরুপীয় জাতির প্রবল প্রতাপে পৃথিবী আজ তাহাদের করতলগত, সেই জাতির জন্ম হওয়া দূরে থাকুক তাহাদের পূর্ব্বপুরুষ গ্রীক রোমান জাতিরও জন্ম হয় নাই। এই প্রসঙ্গে একটি কথা উল্লেখযোগ্য। বিবেকানন্দ এক সময়ে ভারতের প্রাচীনত্ব সম্বন্ধে তদীয় পাশ্চাত্য শিষ্যদ্বারা জিজ্ঞাসিত হইয়া বলিয়াছিলেন, ‘ভারত সুদূর অতীতের জাতি সমূহকে কবর দিয়াছে, যুরুপীয় বর্তমান জাতি সমূহকেও কবর দিবে, তৎপরেও স্বচ্ছন্দে বাঁচিয়া থাকিবে।’ মহাপুরুষের এই বাক্যের সাক্ষীস্বরূপ ত্রিপুরা রাজ্য স্মরণাতীত কাল হইতে স্বীয় গরিমায় আজিও বাঁচিয়া আছে, ভবিষ্যতেও বাঁচিয়া থাকিবে।
(8)
দৈত্যের বানপ্রস্থ
মহারাজ দ্রুহ্যুর পুত্র দৈত্য কালক্রমে পিতার রাজ্যে অভিষিক্ত হন। তিনি অতি সদাশয় ছিলেন, প্রজাগণকে প্রাণ দিয়া ভালবাসিতেন। কি করিলে নিজ রাজ্যের উন্নতি