পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
১৭
 

ত্রিপুরের মৃত্যু ও চতুর্দ্দশ
দেবতার প্রকাশ

যে পুত্র জন্মিবে তাঁহার দ্বারা রাজ্যের অশেষ কল্যাণ হইবে। চন্দ্রবংশ বলিয়া ইঁহার যেমন চন্দ্রধ্বজা হইবে তেমনি ত্রিশূলধ্বজাও হইবে।[১] দেবকৃপা ভিন্ন রাজ্যের মঙ্গল অসম্ভব, সেইজন্য নিত্য পূজার্চ্চনের জন্য শিব-আজ্ঞায় নির্ম্মিত চতুর্দ্দশ দেবতার মুখ প্রজাগণের নিকট প্রকাশিত হইল। চতুর্দ্দশ দেবতার নামঃ—

 হর, উমা, হরি, মা (লক্ষ্মী), বাণী (সরস্বতী), কুমার (কার্ত্তিকেয়), গণেশ, ব্রহ্মা, পৃথিবী, সমুদ্র, গঙ্গা, অগ্নি, কামদেব ও হিমালয়।

সংস্কৃত  হরোমাহরিমাবাণীকুমার-গণপা বিধিঃ।
ক্ষাব্ধী গঙ্গা শিখী কামো হিমাদ্রিশ্চ চতুর্দ্দশ॥

 চতুর্দ্দশ কুলদেবতার যথাবিধি পূজার আদেশ করিয়া শিব অন্তর্হিত হইলেন।

 এদিকে রাণী হীরাবতী শিব ধ্যান করিতে লাগিলেন এবং কালক্রমে শিব-বরে এক পুত্র-রত্ন প্রসব করিলেন। রাজ্যে আনন্দের বন্যা বহিল।

  1. ত্রিপুর রাজচিহ্নঃ—(১) চন্দ্রধ্বজ, (২) ত্রিশূলধ্বজ, (৩) মীন মানব, (৪) শ্বেতচ্ছত্র, (৫) আরঙ্গী (ব্যজন), (৬) তাম্বুল পত্র, (৭) হস্তচিহ্ন, (৮) রাজলাঞ্ছন (Coat of Arms); দরবার উপলক্ষ্যে এই চিহ্নসকল ব্যবহৃত হয়।