পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
১৯

ত্রিপুরা নামের হেতু ও
ত্রিপুর রাজচিহ্ন

 রাজচিহ্ন সম্বন্ধে শিবের নির্দ্দেশ পূূর্ব্বে উক্ত হইয়াছে। এখানে ত্রিপুরার রাজচিহ্নের একটু বিবরণ দেওয়া যাইতেছে।

 ১। চন্দ্রধ্বজ—ইহা সোণার অর্দ্ধচন্দ্রাকৃতি চিহ্ন, রৌপ্যদণ্ডের উপরিভাগে সংযুক্ত; ইহা সিংহাসনের দক্ষিণ পার্শ্বে ধারণ করা হয়।

 ২। ত্রিশূলধ্বজ—ইহাও সুবর্ণ নির্ম্মিত ত্রিশূলাকার চিহ্ন, রৌপ্যদণ্ডের উপর সংযুক্ত।

 ৩। মীন মানব—ইহার ঊর্দ্ধভাগ কটিদেশ পর্য্যন্ত নারীমূর্ত্তি, তন্নিম্ন ভাগ মীনাকৃতি। এই চিহ্ন জলদেবী গঙ্গার প্রতিমূর্ত্তিরূপে গণ্য হইয়া থাকে, ইহার দক্ষিণ হস্তে একটি পতাকা, প্রজার নিকট ইহা রাজধর্ম্মের সুরধুনীতুল্য পবিত্রতা ঘোষণা করিতেছে। প্রতি বৎসর এই রাজ্যে গঙ্গা পূজা হইয়া থাকে। মীন মকরস্থলীয় হইয়া গঙ্গার বাহন।

 ৪। শ্বেতচ্ছত্র—ইহা চন্দ্রবংশীয় নৃপতি ও প্রধান ব্যক্তির একটি বিশেষ চিহ্ন, মহাভারতে ভীষ্মের উপর শ্বেতচ্ছত্র বিরাজিত এইরূপ উল্লেখ পাওয়া যায়।

 ৫। আরঙ্গী—ইহা শ্বেতচ্ছত্র নির্ম্মিত ব্যজন বিশেষ। মহারাজ ত্রিলোচনের বিবাহ যাত্রাকালেও শ্বেতচ্ছত্রের সহিত এ চিহ্ন সঙ্গে ছিল।

 ৬। তাম্বুল পত্র (পান)—এই চিহ্ন রৌপ্য নির্ম্মিত। ইহা সিংহাসনের বাম পার্শ্বে ধারণ করা হয়। হিন্দুগণ শান্তি ও মঙ্গলের চিহ্নস্বরূপ তাম্বুল ব্যবহার করিয়া থাকেন।