রাজমালা
২৭
ত্রিলোচনের দিগ্বিজয়
তখন ইঁহারা আসিলেন। শুভদিনে রাজধানীতে ইঁহাদের প্রধান চন্তাই আসিলেন, মহারাজ চতুর্দ্দশ দেবতার পূজার ভার ইঁহার হস্তে ন্যস্ত করিলেন। সেইদিন হইতে আজ পর্য্যন্ত এ ভাবেই পূজা হইয়া আসিতেছে। আষাঢ় মাসের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে পূজার উদ্বোধন হয়। পূজায় চতুর্দ্দশ দেবতা প্রকট হন।
(৯)
ত্রিলোচনের দিগ্বিজয়
ত্রিলোচন সেকালের প্রথা মতে দিগ্বিজয়ে বাহির হইয়াছিলেন। তাঁহার বিজয় বাহিনীর নিকট কেহ তিষ্ঠাইতে পারে নাই। ঝড়ের বেগে তাঁহার সৈন্য কাঈফেঙ্গ, চাকমা, খুলঙ্গ লঙ্গাই ও তনাউ তৈরঙ্গ দেশ ভাসাইয়াছিল। তাঁহার প্রভুত্ব সকলে মানিয়া লইল এবং ত্রিপুর সৈন্য মধ্যে বিদেশী সৈন্য ভুক্ত হইয়া গেল। এই দিগ্বিজয় অভিযানের ফলে স্বর্ণগ্রামের পূর্ব্বদিকে বর্ত্তমান শ্রীহট্ট ও পরে বর্ত্তমান ত্রিপুরা পর্য্যন্ত ত্রিলোচনের রাজ্যভুক্ত হয়। “লিকা” রাঙ্গামাটি যাহা ত্রিপুরার দক্ষিণে ছিল তাহাও ত্রিপুরার অন্তর্গত হয়।