পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
৩৯
 

মহারাজ প্রতীত ও
হেড়ম্বরাজ

সহিত বিবাদ মিটিয়া যাইবে ইহা ত সুসংবাদ কিন্তু ইহা কি সম্ভব? অবশেষে উভয় রাজার সাক্ষাতের দিন স্থির হইল।

 শুভদিনে মহারাজ প্রতীতের সহিত হেড়ম্বরাজের সাক্ষাৎ হইল। একে অন্যকে জড়াইয়া ধরিয়া আলিঙ্গন করিলেন। হেড়ম্বরাজ কহিলেন, ভাই প্রতীত, পূর্ব্বপুরুষের বিবাদ ভুলিয়া যাও, আজ হইতে আমরা ভাই ভাই! যেমন কথা তেমনি কায। উভয়ে একাসনে বসিলেন, একত্রে ভোজন করিলেন, হেড়ম্বরাজকে প্রতীত “দাদা” বলিয়া সম্বোধন করিলেন। দুই রাজাতে এমনি গলাগলি হইল যে প্রজারা দেখিয়। অবাক্! যুদ্ধের আশঙ্কা দূর হইয়া গেল, প্রজাদের আনন্দ আর ধরেনা। উভয় রাজাতে মিলিয়া উভয় রাজ্যের সীমানা চিহ্নিত করিলেন, প্রেমের ডোর ধরিয়া যেমন সীমা নির্দ্দেশ হইল, প্রেমের ডোরে তেমনি দুই রাজার হাত বাঁধা পড়িল। উভয়ে সমস্বরে প্রতিজ্ঞা করিলেন, যদি কাকের কাল রঙ সাদাও হইয়া যায় তথাপি আমাদের প্রণয়ের পরিবর্ত্তন হইবে না, আমরা দুইজনে মৃত্যু পর্য্যন্ত একে অন্যকে ভাল বাসিতে থাকিব। যদি আমরা একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস হারাই তবে যেন আমরা নির্ব্বংশ হই। এইরূপ প্রীতি প্রেমে কিছুদিন কাটিল।

 এদিকে হেড়ম্বরাজ্যের প্রতিবেশী কামাখ্যা জয়ন্তী প্রভৃতির রাজগণ গোপনে একত্রিত হইল। ত্রিপুরা ও হেড়ম্বের প্রণয়ে ইহাদের বড়ই দুশ্চিন্তা হইল। এখন উপায়? যদি ইহারা