পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
৪২
 

মহারাজ প্রতীত ও
হেড়ম্বরাজ

মারিতে চাহিতেছে, ত্রিপুররাজ অবলাকে রক্ষা কর। কথাগুলি ত্রিপুররাজের কর্ণগোচর হইল।

 বিষয়টি লিখিতে এবং পড়িতে যত সময় লাগিল তাহার তিলাৰ্দ্ধ সময়ের মধ্যে একটা ঘূর্ণিবায়ুর মত এই ঘটনাগুলি ঘটিয়া গেল। মহারাজ বাহিরে আসিয়া দেখিলেন এক প্রলয় কাণ্ড, রমণী বধের পূর্ণ আয়োজন! তখন তাঁহার লোকজন দিয়া রমণীকে ঘেরাও করিয়া তাহাদের সহিত প্রতীত সেখান হইতে সরিয়া পড়িলেন। এই সুন্দরীকে লইয়া মহারাজ প্রতীতের সেনা বহুদূর অগ্রসর হইলে, হেড়ম্বরাজ প্রতীতের পশ্চাদ্ধাবন না করিয়া রণডঙ্কা বাজাইয়া দিলেন, আবার যুদ্ধের ডামাডোল বাজিয়া উঠিল। সুন্দরীর জন্য দুই রাজ্য যুদ্ধে ঝাপাইয়া পড়িল। অদৃষ্ট দেবতা অদৃশ্যে হাসিলেন, কোথায় রহিল উভয় রাজার ভ্রাতৃপ্রতিজ্ঞা! কাক কাল বর্ণই রহিল, সাদা হইল না, তথাপি উভয় পক্ষের সৈন্য কাকের ন্যায় দুই পক্ষে সারি দিয়া দাঁড়াইল।

 এই সংবাদে ষড়যন্ত্রকারী কামাখ্যা জয়ন্তী প্রভৃতি রাজার আনন্দের সীমা রহিল না। তাহারা পরমানন্দে আত্মকলহের সংবাদ উপভোগ করিতে লাগিল।