পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

রাজমালা

মাণিক্য উপাধি দান

Error: The pagelist tag can only be used in the Index: namespace

(৫)

মাণিক্য উপাধি দান

 গৌড়েশ্বর একদা কুমারকে জিজ্ঞাসা করেন—“আচ্ছা কুমার, তোমাকে এত রোগা দেখাইতেছে কেন, ত্রিপুরেশ্বর কি তোমার খাওয়া পরার জন্য উপযুক্ত অর্থ পাঠান না?” কুমার রত্ন তখন নিজের দুঃখের কথা নিবেদন করিলেন। বলিলেন, আমার পিতা তাঁর পুত্রগণকে রাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন অংশে ছোট ছোট রাজা করিয়া দিয়াছেন, আমারই ভাগ্যে কিছু জুটে নাই, আমাকে প্রবাসে গৌড়েশ্বরের নিকট পাঠাইয়াছেন। এই কথা শুনিয়া গৌড়েশ্বর ভিতরে ভিতরে কুপিত হইলেন, মনে মনে হয়ত ভাবিলেন প্রবাসে পাঠানর উদ্দেশ্য হইতেছে একে দূরে রাখা। এক মুখ হাসিয়া রত্নকে কহিলেন—“ওঃ! এইজন্য মুখশ্রী তোমার মলিন? আচ্ছা কুমার কিছু ভাবিও না, আমি এর ব্যবস্থা করিতেছি!”

 নবাবের যেই কথা সেই কায, চক্ষের ইঙ্গিতে গৌড় সেনা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইল। নির্দ্দিষ্ট দিনে গৌড় কটক কুমার রত্নকে ত্রিপুরার সিংহাসনে বসাইবার জন্য যাত্রা করিল। এদিকে ত্রিপুরা রাজ্যে সংবাদ রটিয়া গেল যে রত্ন গৌড়সেনা লইয়া পিতার রাজ্য জয় করিতে আসিতেছেন। মহারাজ ডাগর রত্নের