পাতা:রাজমোহনের স্ত্রী.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У X o রাজমোহনের স্ত্রী সতীনের কথা বলিতে বলিতে মুহূৰ্ত্তকালের জন্য তারার ব্যগ্র মুখভঙ্গীর কিঞ্চিৎ পরিবর্তন ঘটিল ; একটা কুটিল হাসি তাহার মুখে খেলিয়া গেল । কিন্তু সে মুহূৰ্বের জন্য । তারা বলিতে লাগিল, চাপাও দেখছি এ ক'দিন খুব দাপাদাপি ক’রে বেড়াচ্ছে, তবু তুমি ভদ্রভাবে তার কোনও কথাই শুনছ না। আর তোমার এই দীর্ঘনিঃশ্বাস ! তুমি কি এখনও বলতে চাও, তোমার কিছু হয় নি ? মথুর উত্তর দিল না । স্বামীকে নিরুত্তর দেখিয়া তারা আবার বলিতে লাগিল, তুমি কি আমাকে তোমার দুঃখের অংশভাগী হওয়ার উপযুক্ত মনে কর না ? আমি জানি, তুমি আমাকে ভালবাস না । তারা স্বামীর উত্তরের প্রতীক্ষায় কিছুক্ষণ চুপ করিল। মথুর তখনও নিরুত্তর। প্রেমময়ী পত্নীর পবিত্র মুখমণ্ডলের দিকে স্থির দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া সে বসিয়া রহিল ; তাহার বক্ষোদেশ ভেদ করিয়া একটা গভীর দীর্ঘনিঃশ্বাস পড়িল । তারা আর আপনাকে ধরিয়া রাখিতে পারিল না, অশ্ৰুরুদ্ধ কণ্ঠে বলিয়া উঠিল, তোমার মনে কোনও মুখ নেই, তুমি আমার কাছে গোপন ক’রে না, ফাকি দিও না আমাকে—গভীর যন্ত্রণায় তাহার কণ্ঠ প্রায় রুদ্ধ হইয়া যাইতেছিল—আর ঠকিও না আমাকে, কিছু লুকিও না আমার কাছে, সব খুলে বল। আমার জীবন দিয়েও যদি তোমার মনের মুখ ফিরিয়ে আনতে পারি আমি তাই ক’রব—তুমি মুখী হও । মথুর তবুও নির্বাক হইয়া রহিল। উপহাস, তর্ক বা অস্বীকার করিবার প্রবৃত্তি তাহার ছিল না। একটা কঠোর গাম্ভীর্য্যের আবরণে সে বসিয়া রহিল এবং ইতিপূর্বে তাহার মুখভাগে ষে প্রাণহীনতা ও কপটতা আনিয়া সে তাহার পত্নীর প্রশ্নধারা এড়াইয়া চলিতেছিল, তাহা দূর হইয়৷ তাহার মুখে সত্যকার ব্যাকুলত প্রকাশ পাইল ; এই ব্যাকুলত তাহার