পাতা:রাজমোহনের স্ত্রী.djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S > 8 রাজমোহনের স্ত্রী ঘটার কোন ও আশঙ্কা নাই বুঝিয়। সে পুনরায় নিজের কক্ষে ফিরিয়৷ আসিল । - হঠাৎ তাহার মনের অন্ধকারে সে যেন আলোকরেপ দেখিতে পাইল । আচ্ছা, এই ঘটনার সহিত তাতার স্বামীর গুপ্তকথার কোনও সম্বন্ধ নাই তো ! তারা কি করিবে স্থির করিয়া ফেলিল । কয়েক মুহূৰ্ত্ত পরে মথুর সে কক্ষে প্রবেশ করিল, তাতাকে আরও অস্থির আরও চঞ্চল দেখাইতেছিল বটে, কিন্তু তাহার চোথের কোণে যেন একটা গৰ্ব্বের আনন্দ । তার বাহ দেখিয়াছে, সে সম্বন্ধে একটি কথাও বলিল না । অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ যাহার বন্দী করিল ও যে বন্দী হইল আমাদিগকে দৃশ্বাস্তরে মাইতে হইবে। ঘরখানি দেখিলে মনে আতঙ্কের স্বষ্টি হয়, মেঝে হইতে ছাদের দূরত্ব অতি সামান্য ; একটি মাত্র প্রদীপের ক্ষীণ আলোক গম্ভীরদর্শন স্থল প্রাচীর-গাত্রে পড়িয়া ঘরথানিকে অধিকতর ভয়াবঙ্গ করিয়া তুলিয়াছিল। কক্ষটি আকারে ও আয়তনে এত ক্ষুদ্র, ইহার উচ্চতা এমন কম যে, দেখিলে মনে হয়, সাধারণ মানুষের বসবাসের জন্য ইহা স্পষ্ট হয় নাই, অপরাধীদিগের উপযুক্ত করিয়াই ইহা নিৰ্ম্মিত । কক্ষটির একটি মাত্র দরজা, ক্ষুদ্র কিন্তু স্থল লৌহ-নিৰ্ম্মিত ; দরজার আয়তনের তুলনায় ইহার হুড়ক ও খিল একটু বিরাটই বলিতে হইবে। এতদসত্ত্বেও এই কক্ষটির দৃঢ়তায় সন্দিহান হইয়াই যেন গৃহনিৰ্ম্মাতা অদ্ভুত সাবধানতা অবলম্বন করিবার জন্য লৌহের পাত দিয়া সমস্ত কক্ষটি মুড়িয়া দিয়াছে। সেই অস্পষ্ট কম্পমান আলোকে কৃষ্ণবর্ণ ধাতু যেন ভ্ৰকুটি করিতেছিল, মানুষকে জীবস্ত কবর দিবার যেন প্রতীক্ষণ