যথাসাধ্য ভাল করতেই চেয়েছিলাম। আমাদের যারা সঙ্গী করে, শাস্তি তাদের শেষ পর্য্যন্ত ভোগ করতেই হয়।
শয়তান মহাপুরুষকে ধর্ম্মশিক্ষা দিতে শুরু করিল! পাঠককে প্রশ্ন করি, সে কি অন্যায় করিতেছিল?
মথুর রাগতভাবে বলিল, আমাদের যে আর কোনও সম্পর্ক নেই, তা তুমি নিজেই ভাল জান। এই ঝড়ের রাতে আমাকে ডাকলে কেন?
বিষন্ন সর্দ্দার বলিল, কারণ? কারণ এই সময় ছাড়া বাইরে বের হবার উপায় নেই। জান তো পুলিস আমাদের পিছু নিয়েছে।
—তা হ’লে একেবারে রাধাগঞ্জ ছেড়ে যাও না কেন?
সর্দ্দারের মুখে পুরানো বাঁকা হাসি যেন একবার ফুটিয়া উঠিল, তুমি তো আগে এ ধরনের কথা বলতে না বাবু, এখন বুঝি দিন খুব খারাপ পড়েছে! যা পার ভাব, কিন্তু এ কথা তোমাকে বললে বিশ্বাস করবে যে, আমরা যাদের কাজ করি অথবা যারা আমাদের কাজ করে সকলের সম্বন্ধেই আমরা ভাল ধারণাই পোষণ করি।
মথুর প্রশ্ন করিল, মানে?
বিষাদক্লিষ্ট কণ্ঠে সর্দ্দার বলিল, যে এতদিন ছায়ার মত আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকত, দেখছ সে সঙ্গে নেই।
—তা তো দেখছি, সে লোকটা গেল কোথায়? তার নামটা কি যেন? ভিখু না?
—সে ধরা পড়েছে। মথুর চমকাইয়া উঠিল এবং কাঁপিতে কাঁপিতে প্রশ্ন করিল, আরও কিছু দুর্ঘটনা ঘটে নি তো?
সর্দ্দারের স্বর হতাশাপূর্ণ, তাও ঘটেছে বাবু, ভিখু সব স্বীকার করেছে।
মথুর উত্তেজিত হইয়া বলিয়া উঠিল, কি স্বীকার করেছে?
হতাশ সর্দ্দার বলিল, অনেক কিছুই। যা বলেছে, তাতেই তোমাকে