পাতা:রাজমোহনের স্ত্রী.djvu/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজমোহনের স্ত্রী ১৩৭ আর আমাকে কালাপানি পার হতে হবে । আমি কিন্তু ধরা দিচ্ছি না । রাধাগঞ্জে এই আমার শেষ । তুমি আমাদের ভাল করতে চেয়েছিলে, পাছে কেউ কোনদিন বলে যে তোমার ভাল আমরা করি নি, তাই তোমাকে সাবধান করতে এসেছি । উহুরের প্রতীক্ষা না করিয় দক্ষা-সর্দার ঝোপের আড়ালে অস্তষ্ঠিত হঠয় গেল । মথর বাড়ি ফিরিয়া ঘণ্টা দুয়েক ভাবিল—তাহার মনের জোর ছিল, সহজেই সে সাহস সঞ্চয় কবিতে পারিল । সে জানিত, পুলিস অর্থলোলুপ, অসং ; তাহার অর্থের অভাব নাই ; পুলিসকে ঘুষ দিয়া সে বশ করিবে । কিন্তু এক জায়গায় একটু গোল ছিল । সদরে ম্যাজিস্টে টের আসনে একজন পূৰ্ব অতি চটপটে আইরিশম্যান অপিষ্ঠিত এবং সব কিছু ব্যাপারেষ্ট হস্তক্ষেপ করার বদ স্বভাব ও তাহার ছিল । তিনি প্রায়শই পুলিসের অনেক পাপের প্রায়শ্চিত করিবার চেষ্টা করিতেন । কিন্তু মথুর ঘোষ মনে মনে প্রতিজ্ঞা করিয়া বসিল যে, যেমন করিয়াই হউক সেই অনধিকারচর্চাকারী আইরিশম্যানের কাছে ভিখুকে দিয়া তাহার স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করাষ্টবে । কে একজন ছুটিয়া ঘরে প্রবেশ করাতে তাতার চিন্তায় বাপ পড়িল ; তাহার সর্বাঙ্গ দিয়া বৃষ্টির জল ঝরিতেছে, কাদায় গা মাথামাথি । আগন্তুক জিলাকোটে তাঙ্গরই নিযুক্ত একজন বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারী। লোকটি চীংকার করিয়া বলিয়া উঠিল, বাল, পালান, আর এক মুহূৰ্ত্তও দেরি করবেন না। বিমূঢ় মথুর বলিল, ব্যাপার কি ? —ভিখু নামের কে একজন আজ বেল এগারোটার সময় জেলা ম্যাজিস্টে টের কাছে স্বীকার করেছে যে, সে কতকগুলি ডাকাতি আর রাহাজানি আপনার কথাতেই করেছে—নিশ্চয়ই সে মিথ্যা বলেছে হুজুর ।