পাতা:রাজযোগ.djvu/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ যেন জ্যোতিতে পূর্ণ-চারিদিকে সেই জ্যোতিঃ-আভা বিকীর্ণ হইতেছে, সেই স্থানে মনকে ধারণ কর । অথবা মস্তিষ্কাভ্যন্তবস্থ সহস্রদল কমল অথবা পূৰ্ব্বোক্ত স্বযুদ্ধার মধ্যস্ত চক্রগুলিকে জ্যোতিৰ্ম্ময়রূপে চিন্তা করিবে । যোগীর প্রতিনিয়তই অভ্যাস আবশুক । তাহাকে নিঃসঙ্গভাবে থাকিবীর চেষ্টা করিতে হইবে , নানারূপ লোকের সঙ্গে চিত্ত বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়ে। র্তাহার বেশী কথা কওয়া উচিত নয়। কথা বেশী কহিলে মন চঞ্চল হইয়া পড়ে। বেশী কাৰ্য্য করা ভাল নয়, কারণ: অধিক কাৰ্য্য কবিলে মন চঞ্চল হইয় পড়ে ; সমস্ত দিন কঠিন পরিশ্রমেব পব মনঃসংযম কবা যায় না। যিনি এইরূপ দৃঢ়-সকল্পশালী হইয়া কথিত নিয়মে চলিতে পারেন, তিনিই যোগী হইতে পাবেন। সৎকর্মের এমনি অদ্ভুত শক্তি যে, অতি অল্পমাত্র সংকৰ্ম্ম কবিলেও মহাফললাভ হয় । ইহাতে অনিষ্ট কাহাবও হইবে না, বরং ইহাতে সকলেরই উপকার হইবে। প্রথমতঃ, স্নায়বীয় উত্তেজনা শাস্ত হইবে, মনে শাস্ত ভাব আনিয়া দিবে আব সকল বিষয় অতি সুস্পষ্টভাবে দেখিবার ও বুঝিবার ক্ষমতা আসিবে। মেজাজ ভাল হইবে, স্বাস্থ্য ও ক্রমশঃ ভাল হইবে । যোগীর যোগ অভ্যাস কালে যে সকল চিহ্ন প্রকাশ পায়, শরীরের মুস্থতাই তন্মধ্যে প্রথম চিহ্ন। স্বরও স্বন্দর হইবে। স্বরের যাহা কিছু বৈকল্য আছে, সমুদয় চলিয়া যাইবে। র্তাহার অনেক প্রকার চিহ্ন প্রকাশ পাই,ব, তন্মধ্যে এই গুলিই প্রথম । যাহারা অত্যন্ত অধিক সাধনা করেন, তাহাঁদের আরও অন্যান্ত লক্ষণ প্রকাশ পায়। কখন কখন দূর হইতে যেন