পাতা:রাজযোগ.djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধ্যান ও সমাধি জ্ঞানরূপ রেখার উদ্ধে বা নিম্নে বিচরণ করে, তখন কোনরূপ অহংজ্ঞান থাকে না, কিন্তু তখনও মনের ক্রিয়া চলিতে থাকে। যখন মন এই জ্ঞানভূমির অতীত প্রদেশে গমন করে, তখন তাহাকে সমাধি, পূর্ণ চৈতন্ত-ভূমি, বা জ্ঞানাতীত ভূমি বলে। এই সমাধি জ্ঞানেরও পর পারে অবস্থিত। এক্ষণে আমরা কেমন করিয়া জানিব যে, মানুষ সমাধি-অবস্থায় জ্ঞানভূমির নিমন্তরে গমন করে কি-না—একেবারে হীনদশাপন্ন হইয়া পড়ে কি-না ? এই উভয় অবস্থাব কাৰ্য্যই ত অহং-জ্ঞানশূন্ত । ইহার উত্তর এই, কে জ্ঞানভূমির নিম্নদেশে আর কেই বা উৰ্দ্ধদেশে গমন করিল, তাহা ফল দেখিয়াই নির্ণীত হইতে পারে। যখন কেহ গভীর নিদ্রায় মগ্ন হয়, সে তখন জ্ঞানের নিম্নভূমিতে চলিয়া যায়। সে অজ্ঞাতসারে তখনও শরীরের সমুদয় ক্রিয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস, এমন কি শরীর-সঞ্চালন-ক্রিয় পৰ্য্যন্ত করিয়া থাকে ; তাহার এই সকল কার্য্যে অহংভাবের কোন সংস্রব থাকে না ; তখন সে অজ্ঞানে আচ্ছন্ন থাকে ; নিদ্রা হইতে যখন উত্থিত হয়, তখন সে যে মানুষ ছিল, তাহা হইতে কোন অংশে তাহার বৈলক্ষণ্য হয় না। তাহার নিদ্রা যাইবার পূৰ্ব্বে তাহার যে জ্ঞানসমষ্টি ছিল, নিদ্রাভঙ্গের পরও ঠিক তাহাই থাকে, উহার কিছুমাত্র বৃদ্ধি হয় না। তাহার হৃদয়ে কোন নুতন তত্ত্বালোক প্রকাশিত হয় না। কিন্তু যখন মানুষ সমাধিস্থ হয়, সমাধিস্থ হইবার পূৰ্ব্বে সে যদি মহামুখ, অজ্ঞান থাকে, সমাধিভঙ্গের পর সে মহাজ্ঞানী হইয়া উঠিয়া আসে ' এক্ষণে বুঝিয়া দেখ, এই বিভিন্নতার কারণ কি। এক অবস্থা হইতে মানুষ যেমন গিয়াছিল, সেইরূপই ফিরিয়া জাগিল—জার 冷冷