পাতা:রাজযোগ.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ তাহারা অনেক আজগুবি খেয়াল দেখিয়াছেন ও উহার প্রশ্ৰয় দিয়া গিয়াছেন। যাহা হউক, আমরা অনেক মহাপুরুষের জীবনচরিত আলোচনা করিয়া দেখিতে পাই যে, সমাধি লাভ করিতে পূৰ্ব্বোক্তরূপ বিপদের আশঙ্ক আছে। কিন্তু তাহাবা সকলেই যে ঐ অবস্থা লাভ করিয়াছিলেন, তদ্বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই । তাহারা যে কোনরূপে হউক, ঐ জ্ঞানাতীত ভূমিতে আবোহণ কবিয়ছিলেন, তবে আমরা দেখিতে পাই, যখন কোন মহাপুরুষ কেবল ভাবের দ্বারা পরিচালিত হুইয়াছেন, কেবল ভাবোচ্ছাসবশে এই অবস্থায় উপনীত হইয়াছেন, তিনি কিছু সত্য লাভ করিয়াছেন বটে, কিন্তু তৎসঙ্গে কুসংস্কার, গোড়ামী এ সকলও তাঁহাতে আসিয়াছে। র্তাহার শিক্ষাব ভিতরে ষে উৎকৃষ্ট অংশ, তদ্বারা যেমন জগতের উপকার হইয়াছে, ঐ সকল কুসংস্কারাদিব দ্বারা তেমনি ক্ষতিও হইয়াছে । মনুষ্যজীবন নানাপ্রকার বিপরীতভাবে আক্রাস্ত বলিয়া অসামঞ্জস্যপূর্ণ; এই অসামঞ্জস্তের ভিতর কিছু সামঞ্জস্ত ও সত্যলাভ করিতে হইলে, আমাদিগকে তর্কযুক্তির অতীত প্রদেশে যাইতে হইবে । কিন্তু উহা ধীরে ধীরে করিতে হইবে ; নিয়মিত সাধনাত্বারা ঠিক বৈজ্ঞানিক উপায়ে উহাতে পৌছিতে হইলে, আর সমুদয় কুসংস্কারও আমাদিগকে ত্যাগ করিতে হইবে। অন্ত কোন বিজ্ঞান শিক্ষার সময় আমরা ষেরূপ করিয়া থাকি, ইহাতেও ঠিক সেই ধারার অনুসরণ এবং যুক্তি বিচারকেই আমাদের ভিত্তিস্বরূপ করিতে হইবে। তর্কযুক্তি আমাদিগকে যতদূর লইয়া বাইতে পাবে, ততদুর বাইতে হইবে।