পাতা:রাজযোগ.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ রাখিতে পারে, তবে সমুদয়ই এইরূপ শক্তিসম্পন্ন মনের বশীভূত इंश्च| १ांश्च । যত প্রকার অবস্থা আছে, তন্মধ্যে এই ধ্যানাবস্থাই জীবের সৰ্ব্বোচ্চ অবস্থা। যতদিন বাসন থাকে, ততদিন যথার্থ মুখ আসিতে পারে না, কেবল যখন কোন ব্যক্তি সমুদয় বস্তু এই ধ্যানাবস্থা হইতে অর্থাৎ সাক্ষিভাবে পর্য্যালোচনা করিতে পারেন, তখনই তfহার প্রকৃত স্থলাভ হয়। ইতর প্রাণীর সুখ ইঞ্জিয়ের উপর নির্ভর করে। মানুষের মুখ-বুদ্ধিতে, আর দেবমানব আধ্যাত্মিক ধ্যানেই আনন্দলাভ করেন । যিনি এইরূপ ধ্যানাবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছেন, তাহার নিকট জগৎ যথার্থই অতি সুন্দররাপে প্রতীয়মান হয়। যাহার বাসনা নাই, যিনি সৰ্ব্ববিষয়ে নির্লিপ্ত, র্তাহার নিকট প্রকৃতির এই বিভিন্ন পরিবর্তন কেবল এক মহাসৌন্দৰ্য্য ও মহানভাবের ছবিমাত্র । ধ্যানে এই তত্ত্বগুলি জানা আবশ্যক। মনে কর আমি একটি শব্দ শুনিলান। প্রথমে বাহির হইতে একটি কম্পন আসিল, তৎপরে স্নায়বীয় গতি -উহা মনেতে ঐ কম্পনটিকে লইয়া গেল, পরে মন হইতে আবার এক প্রতিক্রিয়া হইল, উহার সঙ্গেসঙ্গেই আমাদের বাহবস্তুর জ্ঞান উদয় হইল। এই বাহ বস্তুটিই আকাশীয় কম্পন হইতে মানসিক প্রতিক্রিয়া পৰ্য্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন পরিবর্তন- . গুলির কারণ। যোগশাস্ত্রে এই তিনটিকে শব্দ, অর্থ ও জ্ঞান বলে। শরীরবিধান শাস্ত্রের ভাষায় এ, ঐগুলিকে আকাশীয় কম্পন, স্নায়ু ও মস্তিক্ষমধ্যস্থ গতি এবং মানসিক প্রতিক্রিয়া এইরূপ আগ্ন্যা দেওয়া যায়। এই তিনটি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র হইলেও >> •