পাতা:রাজযোগ.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংক্ষেপে রাজযোগ ধ্যানের বিষয় পূৰ্ব্বেই উল্লিখিত হইয়াছে । এক্ষণে কতকগুলি ধ্যানের প্রণালী বর্ণিত হইতেছে। ঠিক সরলভাবে উপবেশন করিয়া নিজ নাসিক গ্রে দৃষ্টি কর। দেখিবে, এই নাসিকাগ্রে দৃষ্টি মনস্তুৈৰ্য্যের বিশেষ সহায়ক। চাক্ষুষ স্নাযুদ্ধয়ের বশীকরণ দ্বারা প্রতিক্রিয়ার কেন্দ্রভূমিকেও অনেকটা আয়ত্তাধীনে আনা যায়, সুতরাং উহা দ্বারা ইচ্ছাশক্তিও আমাদের অনেকটা বশীভূত হইয়া পড়ে। এইবার কয়েকপ্রকার ধ্যানের কথা বলা যাইতেছে। চিন্তা কর, মস্তক হইতে কিঞ্চিৎ উৰ্দ্ধে একটি পদ্ম বহিয়াছে, ধৰ্ম্ম উহার মূল দেশ, জ্ঞান উদ্বার মৃণালস্বরূপ, যোগীব অষ্টসিদ্ধি ঐ পদ্মেব অষ্টদলস্বরূপ আর বৈরাগ্য উহার অভ্যস্তরস্থ কণিকা। যে যোগী অষ্টসিদ্ধি উপস্থিত হইলেও উহাদিগকে পরিত্যাগ করিতে পাবেন, তিনিই মুক্তিলাভ কবেন । এই কাবণেই অষ্টসিদ্ধিকে বহির্দেশবর্তী অষ্টদলরূপে এবং আভ্যন্তরস্থ কণিকাকে পর-বৈরাগ্য অর্থাৎ ‘অষ্টসিদ্ধি উপস্থিত হইলে তাহাতেও বৈৰাগ্য"-রূপে বর্ণনা করা হইল। এই পদ্মের অভ্যন্তবে—হিবষ্ময়, সৰ্ব্বশক্তিমান, অম্পর্শ্য, ওঙ্কারবাচ্য, অব্যক্ত, কিরণসমূহ পরিব্যাপ্ত—পবম জ্যোতির চিন্তা কর—তাহাকে ধ্যান কর। আর একপ্রকার ধ্যানের বিষয় কথিত হইতেছে। চিকা কব, তোমার হৃদয়েব ভিতরে একটি আকাশ রহিয়াছে— আব ঐ আকাশের মধ্যে একটি অগ্নিশিখাবৎ জ্যোতিঃ উদ্ভাসিত হইতেছে---ঐ জ্যোতিঃ-শিথাকে নিজ আত্মারূপে চিন্তা কর, আবার ঐ জ্যোতির অভ্যন্তরে আর এক জ্যোতিৰ্ম্ময় আকাশের চিন্তা কর ; উহা তোমার আত্মার আত্মা >》动