পাতা:রাজযোগ.djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা সমুদয় গতিই বৃত্তাকারে হইয়া থাকে। যদি তুমি একটি প্রস্তর লইয়া আকাশে নিক্ষেপ কর, তৎপরে যদি তোমার জীবনপৰ্য্যাপ্ত হয় ও প্রস্তরটি কোন বাধা না পায়, তবে উহা ঠিক তোমার হস্তে ফিরিয়া আসিবে। যদি একটি সরল রেখাকে অনন্ত পথে প্রসারিত করা হয়, তাহ হইলে উহা একটি বৃত্তরূপে পরিণত হইয়া শেষ হইবে। অতএব মানুষের গতি সৰ্ব্বদাই অনন্ত উন্নতিব দিকে, তাহার কোথাও শেব নাই, এই মত অসঙ্গত। অপ্রাসঙ্গিক হইলেও আমি এক্ষণে এই পূৰ্ব্বোক্ত মত সম্বন্ধে দুই একটি কথা বলিব । নীতি-শাস্ত্রে বলে, কাহাকেও ঘুণ করিও না—সকলকে ভালবাসিও । নীতিশাস্ত্রে এই সত্যটি পূৰ্ব্বোক্ত মতদ্বারা প্রতিপন্ন হইয়া যায়। যেমন তাড়িত অথব| অন্য কোন শক্তি সম্বন্ধে আধুনিক মত এই যে, সেই শক্তি— শক্তির আধার-যন্ত্ৰ ( dynamo ) হইতে বহির্গত হইয়া ঘুরিয়া আবার সেই যন্ত্রে প্রত্যাবৃত্ত হয়, ইহাও ঠিক সেইরূপ । প্রকৃতির সমুদয় শক্তি সম্বন্ধেই এই নিয়ম। সমুদয় শক্তিই ঘুরিয়া ফিরিয়া যে স্থান হইতে গিয়াছিল, সেই স্থানেই ফিরিয়া আসিবে। এই হেতু কাহাকেও ঘৃণা করা উচিত নয়, কারণ, ঐ শক্তি-ঐ ঘৃণা—যাহা তোমা হইতে বহির্গত হইয়াছিল, তাহা কালে তোমার নিকট ফিরিয়া আসিবে। যদি তুমি লোককে ভালবাস, তবে সেই ভালবাসা ঘুরিয়া ফিরিয়া তোমার নিকট ফিরিয়া আসিবে। এটি এক্লেবারে অতি সত্য যে, মানুষের অন্তঃকরণ হইতে যে ঘৃণার বীজ নির্গত হয়, তাহ ঘুরিয়া ফিরিয়া তাহার উপর আসিয়া পূর্ণ বিক্রমে প্রভাৰ বিস্তার করিবে। > R@