পাতা:রাজযোগ.djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা কেন ? মন উহার উৎপত্তি স্থানে গিয়া লয় পাইবে। আমরা ইচ্ছা করি বা না করি, আমাদিগকে সেই আদিতে ফিরিয়া যাইতে হইবে। ঐ আদি কারণকে ঈশ্বর বা অনন্তকাল বলে। আমরা ঈশ্বর হইতে আসিয়াছি, ঈশ্বরেতে পুনরায় ঘাইবই যাইব । এই ঈশ্বরকে যে নাম দিয়াই ডাকা হউক না কেন— র্তাহাকে গড়, বল, নিৰ্ব্বিশেষসত্তা বল, আর প্রকৃতিই বল, অথবা আর যে কোন নামেই র্তাহাকে ডাক না কেন—উহ। সেই একই পদার্থ। "যতে বা ইমানি ভূতানি জায়ন্তে । যেন জাতানি জীবস্তি। যং প্রয়ুস্ত্যভিসংবিশন্তি,’ –( তৈঃ উঃ, ৩১ ) “যাহা হইতে সমুদয় উৎপন্ন হইয়াছে, যাহাতে সমুদয় প্রাণী স্থিতি করিতেছে ও র্যাহাতে আবার সকল ফিরিয়া যাইবে । ইহা অপেক্ষ নিশ্চয় আর কিছুই হইতে পাবে না। প্রকৃতি সৰ্ব্বত্র এক নিয়মে কাৰ্য্য করিয়া থাকে। এক লোকে যে কাৰ্য্য হইতেছে, অন্ত লক্ষ্য লক্ষ্য লোকেও সেই একই নিয়মে কাৰ্য্য হইবে । গ্রহসমূহে যাহা দেখিতে পাওয়া যাইতেছে, এই পৃথিবী, সমুদয় মনুষ্য ও সমুদয় নক্ষত্রেও সেই একই ব্যাপার চলিতেছে। বৃহৎ তরঙ্গ লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তরঙ্গের এক মহাসমষ্টি মাত্র। সমুদয় । জগতের জীবন বলিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লক্ষ লক্ষ জীবনের সমষ্টিমাত্র বুঝায়। আর এই সমুদয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লক্ষ লক্ষ জীবের মৃত্যুই জগতের মৃত্যু। এক্ষণে এই প্রশ্ন উদয় হইতেছে যে, এই ভগবানে প্রত্যাবর্তন উচ্চতর অবস্থা অথবা উহা নিম্নতর অবস্থা ? বেগমতাবগৰী দার্শনিকগণ এ কথার উত্তরে দৃঢ়ভাবে বলেন, 3 ՀՀ