পাতা:রাজযোগ.djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা যাইতে পারে যে, ইহার মধ্য দিয়া আমরা একটি উচ্চতর পথে যাইতেছি। আমরা নবজীবন লাভ করিব বলিয়াই এই অবস্থার ভিতর দিয়া আমাদিগকে চলিতে হইতেছে। ভূমিতে বীজ পুতিয়া দাও, উহা বিশ্লিষ্ট হইয়া কিছুকাল পরে একেবারে মাটীর সহিত মিশিয়া যাইবে, আবার সেই বিশ্লিষ্ট অবস্থা হইতে মহাবৃক্ষ উৎপন্ন হইবে। ঐ মহৎ বৃক্ষ হইবার জন্ত প্রত্যেক বীজকেই পচিতে হইবে, এইরূপ ব্ৰহ্মভাবাপন্ন হইতে হইলে প্রত্যেক আত্মাকেই অবনতিব অবস্তাব ভিতর দিয়া যাইতে হইবে। ইহা হইতেই এইটি বেশ প্রতীয়মান হইতেছে যে, আমরা যত শীঘ্র এই ‘মানব”-সংজ্ঞক অবস্থাবিশেষকে অতিক্রম কবিয়া তদপেক্ষণ উচ্চাবস্থায় ঘাই, আমাদের ততই মঙ্গল । তবে কি আত্মহত্যা করিয়া আমরা এ অবস্থ অতিক্রম করিব ? কখনই নহে। উগতে বরং হিতে বিপরীত হইবে । শরীরকে অনৰ্থক পীড়া দেওয়া, অথবা জগৎকে অনর্থক গালাগালি দেওয়া, এই সংসাব তবণের উপায় নহে। আমাদিগকে এই নৈরান্ডের পঙ্কিল হ্রদের মধ্য দিয়া যাইতে হইবে ; অাব যত শীঘ্ৰ যাইতে পাবি ততই মঙ্গল। কিন্তু এটি যেন সৰ্ব্বদা স্মরণ থাকে যে, আমাদের এই বর্তমান অবস্থা সৰ্ব্বোচ্চ অবস্থা নহে । ইহার মধ্যে এইটুকু বোঝা বাস্তবিক কঠিন যে, ষে নির্বিশেষ অবস্থাকে সৰ্বোচ্চ অবস্থা বলা হয়, তাহা অনেকে যেরূপ আশঙ্কা করেন, প্রস্তর অথবা অৰ্দ্ধ-জন্তু-অৰ্দ্ধ-বৃক্ষবৎ জীববিশেষের দ্যায় নহে। এইরূপ ভাবিলেই মহা বিপদ । - RS ఏ