পাতা:রাজযোগ.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ আমাদের যাহা ধারণা আছে, তাহার সমুদয়ই কেবল এই বৃত্তিগুলিকে বুঝিতে হইবে। আমরা হ্রদের তলদেশ দেখিতে পাই না, কারণ, উহার উপরিভাগ ক্ষুদ্রক্ষুদ্র তরঙ্গে সর্বত। যখন সমুদয় তরঙ্গ শান্ত হইয়া জল স্থিৰ হইয়া যায়, তখনই কেবল উছার তলদেশের ক্ষণিক দর্শন পাওয়া সম্ভব। যদি জল ঘোলা থাকে বা উহা ক্রমাগত নড়িতে থাকে, তাহ হইলে উহার তলদেশ কখনই দেখা যাইবে না । যদি উহ! নিৰ্ম্মল থাকে, আর উহাতে বিন্দুমাত্র তরঙ্গ না থাকে, তবেই আমরা উহার তলদেশ দেখিতে পাইব । হ্রদের তলদেশ আমাদের প্রকৃত স্বরূপ-হ্রদটি চিত্ত, আর উহার তরঙ্গগুলি বৃত্তিস্বরূপ। আরও দেখিতে পাওয়া যায়, এই মন ত্রিবিধ-ভাবে অবস্থিতি করে ; প্রথমটি অন্ধকারমর অর্থাৎ তমঃ, যেমন পশু ও অতি মূখদিগের মন । উহার কার্য্য কেবল অপরের অনিষ্ট করা ; এইরূপ মনে আর কোনপ্রকার ভাব উদয় হয় না । দ্বিতীয়, মনেব ক্রিয়াশীল অবস্থা, রজঃ–এ অবস্থায় কেবল প্রভুত্ব ও ভোগের ইচ্ছা থাকে । আমি ক্ষমতাশালী হইব ও অপরের উপব প্রভূত্ব করিব, তখন এই ভাব থাকে। তৃতীয়, যখন সমুদয় প্রবাহ উপশান্ত হয়—হদের জল নিৰ্ম্মল হইয়া যায়—তাহাকে সত্ত্ব বা শাস্ত অবস্থা বলা যায় । ইহা জড়াবস্থা নহে, কিন্তু অতিশয় ক্রিয়াশীল অবস্থা। শান্ত হওয়া শক্তির -সর্বাপেক্ষা উচ্চতম বিকাশ । ক্রিয়াশীল হওয়া ত সহজ । লাগাম ছাড়িয়া দিলে মথের তোমাকে আপনিই টানিয়া লইয়া বাইবে।