পাতা:রাজযোগ.djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজযোগ

বিষয় প্রত্যক্ষ অনুভব করিয়াছেন ও সেইগুলির উপর বিচার করিয়া কতকগুলি সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন। যখন তিনি তাঁহার সেই সিদ্ধান্তগুলিতে আমাদিগকে বিশ্বাস করিতে বলেন, তখন তিনি মানবসাধারণের অনুভূতির উপর উহাদের সত্যাসত্য নির্ণয়ের ভার প্রক্ষেপ করিয়া থাকেন। প্রত্যেক নিশ্চিতবিজ্ঞানেরই (Exact Science) একটি সাধারণ ভিত্তিভূমি আছে, উহা হইতে যে সিদ্ধান্তসমূহ লব্ধ হয়, সকলেই ইচ্ছা করিলে উহাদের সত্যাসত্য তৎক্ষণাৎ বুঝিতে পারেন। এক্ষণে প্রশ্ন এই, ধর্ম্মের এরূপ সাধারণ ভিত্তিভূমি কিছু আছে কিনা? ইহার উত্তর আমাকে দিতে হইলে, ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ এই উভয়ই বলিতে হইবে। জগতে ধর্ম্মসম্বন্ধে সচরাচর এইরূপ শিক্ষা পাওয়া যায় যে, ধর্ম্ম কেবল শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের উপর স্থাপিত, অধিকাংশস্থলেই উহা ভিন্ন ভিন্ন মতসমষ্টি মাত্র। এই কারণেই ধর্ম্মে ধর্ম্মে কেবল বিবাদ বিসম্বাদ দেখিতে পাওয়া যায়। এই মতগুলি আবার বিশ্বাসের উপর স্থাপিত; কেহ কেহ বলেন, মেঘপটলারূঢ় এক মহা্‌ন্‌ পুরুষ আছেন, তিনিই সমুদয় জগৎ শাসন করিতেছেন; বক্তা আমাকে কেবল তাঁহার কথার উপর নির্ভর করিয়াই উহা বিশ্বাস করিতে বলেন। এইরূপ আমারও অনেক ভাব থাকিতে পারে, আমি অপরকে তাহা বিশ্বাস করিতে বলিতেছি। যদি তাঁহারা কোন যুক্তি চান, এই বিশ্বাসের কারণ জিজ্ঞাসা করেন, আমি তাঁহাদিগকে কোনরূপ যুক্তি দেখাইতে অসমর্থ হই। এই জন্যই আজকাল ধর্ম্ম ও দর্শনশাস্ত্রের দুর্নাম শুনা যায়। প্রত্যেক শিক্ষিত ব্যক্তিরই যেন মনের ভাব এই যে, “দুর ছাই, ধর্ম্মগুলো ত দেখ্‌ছি কতকগুলো