পাতা:রাজযোগ.djvu/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ দেখিতে পাই, তাহার সমুদয় প্রকৃতির উপরে আত্মার প্রতিবিম্ব মাত্র । প্রকৃতি নিজে জড় । এটি স্মরণ রাখা উচিত যে, প্রকৃতি বলিতে উহার সহিত মনকেও বুঝাইতেছে। মনও প্রকৃতির ভিতরের বস্তু। আমাদের যাহা কিছু চিস্তা, তাহাও প্রকৃতির অন্তর্গত । চিস্ত হইতে অতি স্থলতম ভূত পৰ্য্যস্ত সমুদয়ই প্রকৃতির অন্তর্গত—প্রকৃতির বিভিন্ন বিকাশ মাত্র । এই প্রকৃত্তি মন্থয্যের আত্মাকে আবৃত রাখিয়াছে ; যখন প্রকৃতি ঐ আবরণ সরাইয়া লয়েন, তখন আত্মা আবরণমুক্ত হইয় স্বমহিমায় প্রকাশিত হন। পঞ্চদশ স্থত্রে বর্ণিত এই বৈরাগ্যদ্বারা প্রকৃতি বশীভূত হন বলিয়া উহা আত্মার প্রকাশের পক্ষে অতিশয় সাহায্যকারী। পরস্থত্রে সমাধি অর্থাৎ পূর্ণ একাগ্রতার লক্ষণ বর্ণনা করা হইয়াছে। উহাই যোগীর চরম লক্ষ্য । বিতর্কবিচারানন্দাস্মিতারূপামুগমাৎ সম্প্রজ্ঞাতঃ ॥১৭ সূত্রার্থ।—যে সমাধিতে বিতর্ক, বিচার, আনন্দ ও অস্মিতা অনুগত থাকে, তাহাকে সম্প্রজ্ঞাত বা সম্যক্ জ্ঞানপূর্বক সমাধি বলে। ব্যাখ্যা । সমাধি দুই প্রকার । একটিকে সম্প্রজ্ঞাত ও অপরটিকে অসম্প্রজ্ঞাত বলে । এই সম্প্রজ্ঞাত সমাধিতে প্রকৃতিকে বশীকরণের সমুদয় শক্তি আইলে । সম্প্রজ্ঞাত সমাধি আবার চারি প্রকার। ইহার প্রথম প্রকারকে সবিতর্ক সমাধি বলেঞ্জ সকল সমাধিভেই মনকে অস্তান্ত বিষয় হইতে সরাইয়া g * é३ �