পাতা:রাজযোগ.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র প্রায় বিনষ্ট হইয়া আইসে, তখনই সমাধি নিৰ্ব্বীজ হইয়া যায়। তখন মনের ভিতর এমন কোন সংস্কার-বীজ থাকে না, যাহা হইতে এই জীবনলতিকা পুনঃ পুনঃ উৎপন্ন হইতে পারে—যাহা হইতে এই অবিরাম জন্মমৃত্যুচক্র প্রবাহিত হইতে পারে। অবগু তোমরা জিজ্ঞাসা করিতে পার যে জ্ঞান থাকিবে না, সে আবার কি প্রকার অবস্থা। যাহাকে আমরা জ্ঞান বলি, তাহা ঐ জ্ঞানাতীত অবস্থার সহিত তুলনায় নিম্নতর অবস্থামাত্র। এইটি সৰ্ব্বদা স্মরণ রাখা উচিত যে, কোন বিষয়ের সৰ্ব্বোচ্চ ও সৰ্ব্বনিম্ন প্রাস্তদ্বয় প্রায় একই প্রকার দেখায় । , ইথারের কম্পন যুদ্ধতম হইলে উহাকে অন্ধকার বলে, আবার উহার উচ্চতম কম্পনও অন্ধকারের স্কায় দেখায় । কিন্তু ঐ দুই প্রকার অন্ধকারকে কি এক বলিতে হইবে ? উহার একটি—প্রকৃত অন্ধকার, অপরটি—অতি তীব্র আলোক, তথাপি উহার দেখিতে একই প্রকার । এইরূপে, অজ্ঞান সৰ্ব্বাপেক্ষা নিম্নাবস্থা, জ্ঞান মধ্যাবস্থা, আর ঐ জ্ঞানের অতীত (বিজ্ঞানধাতু ) একটি উচ্চ অবস্থা আছে। কিন্তু অজ্ঞানাবস্থা ও জ্ঞানাতীত ( নিঃসত্ত্ব নির্জীব ) অবস্থা দেখিতে একই প্রকার। আমরা যাহাকে জ্ঞান বলি, তাহ এক উৎপন্ন দ্রব্য— উহা একটি মিশ্র পদার্থ, উহা প্রকৃত সত্য নহে। এই উচ্চতর সমাধি ক্রমাগত অভ্যাস করিলে তাহার কি ফল হইবে ? উহাতে, এই অভ্যাসের পূৰ্ব্বে আমাদের অস্থিরতা ও জড়ত্বের দিকে মনের যে একটা প্রবণতা ছিল, তাহা ত নষ্ট হইবেই, সঙ্গে সঙ্গে সৎপ্রবৃত্তিরও নাশ হইয়া যাইবে । অপরিস্কৃত হুবর্ণ হইতে উহার , খাদ বাহির করিবার জন্য কোন রাসায়নিক দ্রব্য እ¢ዓ