পাতা:রাজযোগ.djvu/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ মিশাইলে যাহা হয়, এ ক্ষেত্রেও ঠিক তাহাই হইয় থাকে। যখন খনি হইতে উত্তোলিত অপরিস্কৃত ধাতুকে গলান হয়, তখন যে রাসায়নিক পদার্থগুলি উহার সঙ্গে মিশন হয়, সেগুলিও ঐ খাদের সহিত গলিয়া যায়। এই প্রকারেই সৰ্ব্বদা পূৰ্ব্বোক্ত সমাধি অভ্যাসরূপ সংযম-শক্তিবলে প্রথমে পূৰ্ব্বতন অসৎ প্রবৃত্তিগুলি ও পরিশেষে সৎপ্রবৃত্তিগুলিও চলিয়া যাইবে । এইরূপে সদসৎ প্রবৃত্তিদ্বয়ের নিরোধে আত্মা সৰ্ব্ববন্ধনবিমুক্ত হইয়া স্বমহিমায়, সৰ্ব্বব্যাপী সৰ্ব্বশক্তিমান ও সৰ্ব্বজ্ঞ রূপে অবস্থিত থাকিবেন। সুতরাং সমুদয় শক্তি ত্যাগ করিলেই আমরা সৰ্ব্বশক্তিমান হইতে পারি, এই ক্ষুদ্র জীবনের অভিমান ত্যাগ করিলেই আমরা মৃত্যু অতিক্রম করিয়া মহাপ্রাণরূপে অবস্থিত হইতে পারি। তখন মানুষ জানিতে পরিবে, কোনকালেই তাহার জন্ম মৃত্যু ছিল না, তাহার স্বৰ্গ বা পৃথিবী কখনই কিছুরই প্রয়োজন ছিল না । সে তখন বুঝিবে, তাহার আসা যাওয়া কোন কালেই নাই, আসা যাওয়া কেবল প্রকৃতির। আর প্রকৃতির ঐ গতিই আত্মার উপর প্রতিবিম্বিত হইয়াছিল। কাচ হক্টতে প্রতিবিম্বিত হইয়া প্রাচীরের উপর আলোক পড়িয়াছে ও নড়িতেছে। প্রাচীর নিৰ্ব্বোধের মত, ভাবিতেছে, আমিই নড়িতেছি। আমাদের সকলের সম্বন্ধেই এইরূপ ; চিত্তই ক্রমাগত এদিক ওদিক যাইতেছে, উহা আপনাকে নানারূপে পরিণত করিতেছে, কিন্তু আমরা মনে করিতেছি, আমরা এই বিভিন্ন আকার ধারণ করিতেছি। অসম্প্রজ্ঞাত সমাধির অভ্যাসে এই সমুদয় অজ্ঞানই চলিয়া যাইবে । সেই