পাতা:রাজযোগ.djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ ব্যক্তিগণের সর্বদাই আমাদের নিকট থাকার প্রয়োজন, সুতরাং এই গুরুগণের সৰ্ব্বদাই প্রয়োজন ছিল । জগৎ কখনও এই সকল আচাৰ্য্যবিরহিত হয় নাই । কোন জ্ঞানই তাহদের সহায়তা, ব্যতীত আসিতে পারে না । ঈশ্বর সমুদয় গুরুর ও গুক, কারণ, এই সমস্ত গুরুগণ যতই উন্নত হউন না কেন, তাহার দেবতাই হউন, অথবা স্বর্গদূতই হউন, সকলেই বদ্ধ ও কাল দ্বারা সীমাবদ্ধ, কিন্তু ঈশ্বর কাল দ্বারা আবদ্ধ নন। যোগীদিগের এই দুইটি বিশেষ সিদ্ধান্ত-প্রথমটি এই যে, শাস্ত বস্তুর চিন্তা করিতে গেলেই মন বাধ্য হইয়াই অনস্তের চিন্তা করিবে । আর যদি ঐ মানসিক অনুভূতিব এক ভাগ সত্য হয়, তবে উহার অপর ভাগও সত্য হইবে । কারণ, দুইটিই যখন সেই একই মনের অনুভূতি, তখন দুইটি অনুভূতির মূল্যই সমান। মানুষেব অল্প জ্ঞান আছে অর্থাৎ মানুষ অল্পজ্ঞ-ইহা হইতেই বুঝা যাইতেছে যে ঈশ্বরের অনন্ত জ্ঞান আছে—ঈশ্বর অনন্তজ্ঞানসম্পন্ন। যদি আমরা এই দুইটি অনুভূতির ভিতরে একটিকে গ্রহণ কবি, তবে অপরটিকেও গ্রহণ না করিব কেন ? যুক্তি ত বলে-হয়, উভয়কে গ্রহণ কর, নয়, উভয়কেই পরিত্যাগ কর । যদি আমি বিশ্বাস কবি যে, মানব অল্পজ্ঞানসম্পন্ন, তবে আমাকে অবগুই স্বীকার করিতে হইবে যে, তাহার পশ্চাতে একজন অসীমজ্ঞানসম্পন্ন পুরুষ আছেন । দ্বিতীয় সিদ্ধাস্ত এই যে, গুরু ব্যতীত কোন জ্ঞানই হইতে পারে না। বর্তমান কালের দার্শনিকগণ যে বলিয়া থাকেন, মামুষের জ্ঞান তাহার আপনার ভিতর হইতে উৎপন্ন হয়, এ কথা সত্য বটে, সমুদয় >心创 �