পাতা:রাজযোগ.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র জ্ঞানই মামুষের ড্রিতরে রহিয়াছে বটে, কিন্তু ঐ জ্ঞানেব উন্মেষের জন্য কতকগুলি অমুকুল পারিপার্থিক অবস্থার প্রয়োজন । আমরা গুরু ব্যতীত কোন জ্ঞান লাভ করিতে পারি না। এক্ষণে কথা হইতেছে, যদি মনুষ্য, দেব, অথবা স্বৰ্গবাসী দূতবিশেষ আমাদের গুরু হন, তাহা হইলে, তাহারা ত সকলেই সসীম ; তাহদের পূর্বে তাহাদের আবার গুরু কে ছিলেন? আমাদিগকে বাধ্য হইয়া এই চরম সিদ্ধাস্তু স্থির করিতে হইবেই হইবে যে, এমন একজন গুরু আছেন, যিনি কালেৰ স্বাবা সীমাবদ্ধ বা অবচ্ছিন্ন নহেন । সেই এক অনন্তজ্ঞানসম্পন্ন গুরু, যাহার আদিও নাই, অন্তও নাই, তাহাকেই ঈশ্বর বলে। ania. তস্য বাচকঃ প্রণবঃ ॥ ২৭ ॥ সূত্রার্থ —প্রণব অর্থাৎ ওঙ্কার তাহার প্রকাশক । ব্যাখ্যা । তোমার মনে যে কোন ভাব আছে, তাহারই এক প্রতিরূপ শব্দও আছে ; এই শব্দ ও ভাবকে পৃথক্ করা যায় না। একই বস্তুর বাহভাগটিকে শব্দ ও তাঁহারই অন্তর্ভাগটিকে চিন্তা বা ভাব আখ্যা দেওয়া হইয়া থাকে। কোন মনুষ্যই বিশ্লেষণবলে চিন্তাকে শব্দ হইতে পৃথক করিতে পারে না । কতকগুলি লোক একত্রে বসিয়া কোন ভাবের জন্ত কি শব্দ প্রয়োগ করিতে হইবে, এইরূপ স্থির করিতে করিতে ভাষাব উৎপত্তি হইয়াছে, এইরূপ অনেকের মত ; কিন্তু এই মত যে "মাত্মক, তাহ প্রমাণিত হইয়াছে। যতদিন মানুষ রহিয়াছে, ততদিন শব্দ ও ভাষা উভয়েরই অস্তিত্ব রহিয়াছে। এক্ষণে কথা হইতেছে, একটি ভাব ও Set �