পাতা:রাজযোগ.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
রাজযোগ

“আমি ঈশ্বর দর্শন করিয়াছি।” তাঁহার শিষ্যেরাও বলিয়া, ছিলেন, “আমরা ঈশ্বরকে অনুভব করিয়াছি।” এইরূপ আরও অনেক প্রত্যক্ষানুভূতি শুনা যায় ।

বৌদ্ধধৰ্ম্মেও এইরূপ। বুদ্ধদেবের প্রত্যক্ষানুভূতির উপরে এই ধৰ্ম্ম স্থাপিত। তিনি কতকগুলি সত্য অনুভব করিয়াছিলেন। তিনি সেইগুলি দর্শন করিয়াছিলেন, সেই সকল সত্যের সংস্পর্শে আসিয়াছিলেন এবং তাহাই জগতে প্রচার করিয়াছিলেন। হিন্দুদের সম্বন্ধেও এইরূপ; তাঁহাদের শাস্ত্রে ঋষি-নামধেয় গ্রন্থকৰ্ত্তাগণ বলিয়া গিয়াছেন, “আমবা কতকগুলি সত্য অনুভব করিয়াছি।" এবং তাঁহারা তাহাই জগতে প্রচার করিয়া গিয়াছেন। অতএব স্পষ্ট বুঝা গেল যে, জগতে সমুদয় ধৰ্ম্মই, জ্ঞানের সাৰ্ব্বভৌমিক ও সুদৃঢ় ভিত্তি যে-প্রত্যক্ষানুভব—তাহারই উপর স্থাপিত। সকল ধৰ্ম্মাচাৰ্য্যগণই ঈশ্বরকে দর্শন করিয়াছিলেন। তাঁহারা সকলেই আত্মদর্শন করিয়াছিলেন; সকলেই আপনাদের অনন্ত স্বরূপ অবগত হইয়াছিলেন, আপনাদের ভবিষ্যৎ অবস্থা দেখিয়াছিলেন, আর যাহা তাঁহারা দেখিয়াছিলেন, তাহাই প্রচার করিয়া গিয়াছেন। তবে প্রভেদ এইটুকু যে, প্রায় সকল ধৰ্ম্মেই, বিশেষতঃ ইদানীন্তন, একটি অদ্ভুত দাবি আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয়, সেটি এই যে— 'এক্ষণে এই সকল অনুভূতি অসম্ভব। যাঁহারা ধৰ্ম্মের প্রথম স্থাপনকৰ্ত্তা, পরে যাঁহাদের নামে সেই সেই ধৰ্ম্ম প্রচলিত হয়, এইরূপ স্বল্প ব্যক্তিতেই কেবল, প্রত্যক্ষানুভব সম্ভব ছিল। এখন আর এরূপ অনুভব হইবার উপায় নাই; সুতরাং এক্ষণে ধৰ্ম্ম, বিশ্বাস করিয়া লইতে হইবে'—আমি এ কথা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার