পাতা:রাজযোগ.djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র বুঝাইয়াছে, তাহা, হইলে আমরা বুঝিতে পারি যে, ঐ বাচ্য বাচকের মধ্যে যথার্থ একটি সম্বন্ধ আছে। যদি ঐ পদার্থগুলি উপস্থিত না থাকে, সহস্রসহস্র ব্যক্তি উহাদের বাচকের দ্বারাই উহাদের জ্ঞান লাভ করিবে । বাচ্য ও বচকের মধ্যে স্বাভাবিক সম্বন্ধ থাকা বিশেষ অবিশুক ; তাহা হইলেই যখন ঐ বাচক শব্দটিকে উচ্চাবণ করা হইবে, তখনই উহা ঐ বাচ্য-পদার্থটির কথা মনে উল্লেখ কবিয়া দিবে। সুত্রকার বলিতেছেন, ওঙ্কাক ঈশ্বরের বাচক। স্বত্রকার বিশেষভাবে ‘ওঁ এই শব্দটির উল্লেখ কবিলেন কেন ? “ঈশ্বং” এই ভাবটি বুঝাইবাব জন্য ত শত শত শব্দ রহিয়াছে। একটি ভাবেব সহিত সহস্রসহস্ৰ শদেব সম্বন্ধ থাকে। ঈশ্বর ভাবটি শত শত শদেব সহিত সম্বন্ধ রহিয়াছে, উস্থার প্রত্যেকটিই ত ঈশ্ববের বাচক । ভাল, তাঁহাই হইল ; কিন্তু তাহ হইলেও ঐ শব্দ গুলির মধ্যে একটি সাধারণ শব্দ বাহির করা চাই। ঐ সমুদয় বাচকগুলিব একটি সাধারণ শব্দ-ভূমি বাহির করিতে হইবে—মাব যে বাচক শৰট সকলের সাধারণ বাচক হইবে, সেই বাচক শব্দটিই সর্বশ্রেষ্ঠরূপে পরিগণিত হইবে, অব সেইটিই বাস্তবিক উহার যথার্থ বাচক হইবে । কোন শব্দ উচ্চারণ করিতে হইলে, আমরা কণ্ঠনালী ও তালুকে শব্বোচ্চারণাধাররূপে ব্যবহার কবিয়া থাকি। এমন কি কোন ভৌতিক শব্দ আছে, অপর সমুদয় শৰ যাহাব প্রকাশ স্বরূপ-যাহ স্বভাবতঃই অন্ত সমুদয় শব্দগুলিকে বুঝাইতে পারে? ওঁ-এই পৰই এই প্রকার ; উহাই সমুদ্ৰ Šቈፃ