পাতা:রাজযোগ.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র করিয়াছিলেন । সুতরাং কাৰ্য্যতঃ যখন এই ওঙ্কার মানব জাতির অধিকাংশের ধৰ্ম্মভাব প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হইতেছে, তখন সকল দেশের সকল জাতিই ইহা অবলম্বন করিতে পারেন। ইংরাজী ‘গড়’ শব্দ ধর, উহাতে যে ভাব প্রকাশ করে, তাহ বড় বেশী দূৰ যাইতে পারে না। যদি তুমি উহার অতিরিক্ত কোন ভাব ঐ শব্দ দ্বারা বুঝাইতে ইচ্ছা কর, তবে তোমাকে উহাতে বিশেষণ যোগ করিতে হইবে— cNNR (Personal) Hed, (Impersonal) fool, (Absolute) নির্বিশেষ ইত্যাদি। অন্ত সমুদয় ভাষাতেই ঈশ্বরবাচক যে সকল শব্দ আছে, তৎসম্বন্ধেও এই কথা থাটে ; উহাদের অতি অল্প-ভাব প্রকাশ করিবাব শক্তি আছে। কিন্তু ‘ওঁ এই শব্দে এই সৰ্ব্বপ্রকার ভাবই রহিয়াছে । অতএব, উহা সৰ্ব্বসাধারণের গ্রহণ করা আবশু্যক । তজপস্তদৰ্থভাবনমৃ ॥ ২৮ ॥ সূত্রার্থ।—এই ওঙ্কারের পুনঃপুনঃ উচ্চারণ ও উহার অর্থ ধ্যান (সমাধিলাভের উপায় )। ব্যাথ্যা। এক্ষণে কথা হইতেছে, পুনঃপুনঃ উচ্চারণের আবশুকতা কি ? অবশু, আমাদের সংস্কারবিষয়ক মতবাদের কথা স্মরণ আছে ; সমুদয় সংস্কারসমষ্টিই আমাদের মনোমধ্যে অবস্থিত আছে। সংস্কারগুলি মনের মধ্যে বাস করে ; তাহার ক্রমশঃ সুহ্মাণুস্বল্প হইয়া অব্যক্তভাব ধারণ করে বটে, কিন্তু একেবারে লুপ্ত হয় না, উহার মনের মধ্যেই অবস্থিত থাকে ; )అఫె