পাতা:রাজযোগ.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র কারণ, পুরাতন ক্ষতের চিহ্ন এখনও তোমার অঙ্গে রহিয়াছে ; এই অসৎসঙ্গরূপ তাপ যেই উহার উপর প্রযুক্ত হয়, অমনিই আবার সেই ক্ষত পূৰ্ব্ব-বিক্রমে আসিয়া দেখা দেয়। এই উদাচরণের দ্বারাই বোধগম্য হইবে যে, আমাদেব ভিতরে যে সকল উত্তম সংস্কার আছে, সেগুলি এক্ষণে অব্যক্ত ভাব ধারণ করিয়াছে বটে, কিন্তু উহারা আবার সৎসঙ্গের দ্বারা জাগরিত হইবে— বাক্তভাব ধারণ করিবে। সৎসঙ্গ অপেক্ষা জগতে পবিত্রতর কিছু নাই, কারণ, সংসঙ্গ হইতেই শুভ সংস্কারগুলি জাগরিত হইবার সুযোগ উপস্থিত হয়—ঐগুলি চিত্তত্বদের তলদেশ হইতে উপরিভাগে আসিবাব উপক্রম করে । o ততঃ প্রত্যকৃচেতনাধিগমোহপ্যন্তরায়াভাবশ ॥২৯ সূত্রার্থ।—উহা হইতে অন্তদৃষ্টি লাভ হয় ও যোগবিল্পসমূহ নাশ হয়। ব্যাখ্যা । এই ওঙ্কার জপ ও চিন্তাব প্রথম ফল এই দেখিবে যে, ক্রমশঃ অস্তদৃষ্টি বিকশিত এবং মানসিক ও শারীরিক যোগবিম্বসমুদয় দূৰীভূত হইতে থাকিবে । এক্ষণে প্রশ্ন হইতেছে, এই ষোগবিঘ্নগুলি কি কি ? ব্যাধিস্ত্যানসংশয় প্রমাদালস্তাবিরতিভ্রাস্তিদশনালব্ধভূমিকত্বানবস্থিতত্বানি চিত্তবিক্ষেপাস্তেহন্তরায়াঃ॥৩০ সূত্রার্থে —রোগ, মানসিক জড়তা, সন্দেহ, উদ্যম রাহিত্য, আলস্য, বিষয়তৃষ্ণা, মিথ্যা অনুভব, একাগ্রত >ፃ »