পাতা:রাজযোগ.djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র ও অশান্তির কারণ, মনকে ঐ-ঐরূপভাবে ধারণ করিবার অক্ষমতা । মনে কর, একজন আমার প্রতি কোন অন্যায় ব্যবহার করিল, অমনি আমি তাহার প্রতীকার করিতে উদ্যত হইলাম। আর আমরা যে, কোন অন্যায় ব্যবহারের প্রতিশোধ না লইয়া থাকিতে পারি না, তাহার কারণ এই যে, আমরা চিত্তকে থামাইয়া রাখিতে পারি না । উহা ঐ পদার্থের প্রতি প্রবাহাকারে ধাবমান হয় ; আমরা তখন মনের শক্তি হীরাইয়া ফেলি। আমাদিগের মনে ঘৃণা অথবা অপরের অনিষ্টকরণ-প্রবৃত্তিরূপ যে প্রতিক্রিয়া হয়, তাহা শক্তির ক্ষয়মাত্র । আর কোন অশুভ চিন্ত অথবা ঘূণাপ্রস্তুত কাৰ্য্য অথবা কোন প্রকার প্রতিক্রিয়ার চিস্তা যদি দমন করা যায়, তবে তাহা হইতে শুভকরী শক্তি উৎপন্ন হইয়া আমাদের উপকারার্থ সঞ্চিত থাকিবে । এইরূপ সংযমেব দ্বারা আমাদের যে কিছু ক্ষতি হয়, তাহী নহে, বরং তাহ হইতে আশাতীত উপকার হইয়া থাকে। যখনই আমরা ঘূণ অথবা ক্রোধবৃত্তিকে সংযত করি, তখনই উহ আমাদেব অমুকুল শুভশক্তিস্বরূপ সঞ্চিত হইয়া উচ্চতর শক্তিরূপে পরিণত হইয় থাকে । প্রচ্ছদনবিধারণাভ্যাং বা প্রাণস্ত ॥ ৩৪ ॥ সূত্রার্থ।—শ্বাস বাহির করিয়া দেওয়া ও ধারণ দ্বারাও (চিত্ত স্থির হয় )। - ব্যাখ্যা । এ স্থানে অবশ্য প্রাণ শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে । প্রাণ সুবহু ঠিক শ্বাস নহে। সমুদয় জগতে ষে শক্তি ব্যাপ্ত ›ፃው