পাতা:রাজযোগ.djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ রহিয়াছে, তাহারই নাম প্রাণ । জগতে যাহা কিছু দেখিতেছ, যাহা কিছু একস্থান হইতে অপর স্থানে গমনাগমন করে, যাহা কিছু কাৰ্য্য করিতে পাবে, অথবা যাহার জীবন আছে, তাহাই এই প্রাণের বিকাশ। সমুদয় জগতে যত শক্তি প্রকাশিত রচিয়াছে, তাহার সমষ্টিকে প্রাণ বলে। যুগোৎপত্তির প্রাক্কালে এই প্রাণ প্রায় একরূপ গতিহীন অবস্থায় অবস্থান কবে, আবার যুগপ্রারম্ভকালে প্রাণ ব্যক্ত হইতে আরম্ভ হয় । এই প্রাণই গতিরূপে প্রকাশিত হইতেছে, ইহাই মনুষ্যজাতি অথবা অন্তান্ত প্রাণীকে স্বায়বীয় গতিরূপে প্রকাশিত, আবাব ঐ প্রাণই চিন্তা ও অন্যান্ত শক্তিরূপে প্রকাশিত হয়। সমুদয় জগৎ এই প্রাণ ও আকাশের সমষ্টি । মনুষদেহও ঐরূপ ; যাহা কিছু দেখিতেছ বা অনুভব কবিতেছ, সমুদয় পদার্থই আকাশ হইতে উৎপন্ন আর প্রাণ হইতেই সমুদয় বিভিন্ন শক্তি উৎপন্ন হইয়াছে। এই প্রাণকে বাহিরে ত্যাগ কবা ও উহাব ধাবণ করার নামই প্রাণায়াম । যোগশাস্ত্রের পিতাস্বরূপ পতঞ্জলি এই প্রাণায়াম সম্বন্ধে কিছু বিশেষ বিধান দেন নাই, কিন্তু তাহার পরবর্তী অন্তান্ত যোগীরা এই প্রাণায়াম-সম্বন্ধে অনেক তত্ত্ব আবিষ্কার করিয়া উহাকেই একটি মহতী বিদ্যা করিয়া তুলিয়াছেন। পতঞ্জলির মতে ইহা চিত্তবৃত্তিনিবোধের বিভিন্ন উপায়সমূহের মধ্যে অন্যতম উপায় মাত্র, কিন্তু তিনি ইহাব উপর বিশেষ ঝোক দেন নাই। র্তাহার তাব এই ষে, শ্বাস খানিকক্ষণ বাহিরে ফেলিয়া আবার ভিতরে টানিয়া লইবে এবং কিছুক্ষণ উহা ধারণ করিয়া রাখিবে, তাহাতে মন অপেক্ষাকৃত ১৭৬