পাতা:রাজযোগ.djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ হয়, মস্তিষ্কের ভিতরের পথগুলি ততই অধিক জটিল হইবে, ততই সহজে সে নুতন নুতন ভাবগ্রহণ করিবে ও তাহা বুঝিতে পাবিবে। প্রত্যেক নুতন ভাব সম্বন্ধে এইরূপ জানিবে। মস্তিষ্কে একটি নুতন ভাব আসিলেই মস্তিষ্কের ভিতর নূতন প্রণালী নিৰ্ম্মিত হইল। এই জন্ত যোগ অভ্যাসের সময় আমরা প্রথমে এত শারীরিক বাধা প্রাপ্ত হই। কারণ, যোগ সম্পূর্ণরূপে কতকগুলি নুতন প্রকার চিন্তা ও ভাবসমষ্টি । এষ্ট জন্থই আমবা দেখিতে পাই যে, ধৰ্ম্মেল যে অংশ, প্রাকৃতিক, জাগতিক ভাব লইয়া বেশী নাড়াচাড়া কবে, তাহ সর্বসাধারণেব গ্রাহ হয়, আব উহাব অপবাংশ অর্থাৎ দর্শন বা মনোবিজ্ঞান, যাহা কেবল মমুষ্যের আভ্যন্তরিক ভাগ লইয়া ব্যাপৃত, তাহী সাধারণতঃ লোকে তত গ্রাহের মধ্যে আনে না । আমাদেব এই জগতের লক্ষণ স্মবণ রাখা আবশুক ; জগৎ আমাদেব জ্ঞানভূমিতে প্রকাশিত অনন্ত সত্তামাত্র । অনন্তের কিয়দংশ আমাদের জ্ঞানের সম্মুখে প্রকাশিত হইয়াছে, উহাকেই আমরা আমাদেব জগৎ বলিয়৷ থাকি । তাহা হইলেই দেথা গেল যে, জগতের অতীত প্রদেশে এক অনন্ত সন্ত বহিয়াছে । ধৰ্ম্ম এই উভয় বিষয়ক হওয়া অবিস্তক অর্থাৎ এই ক্ষুদ্রপিণ্ড, বাহাকে আমরা জগৎ বলি, আর জগতের অতীত অনস্ত সত্তা—এই উভয়ই ধৰ্ম্মের বিষয় । যে ধৰ্ম্ম এই উভয়ের মধ্যে কেবল একটিকে লইয়াই ব্যাপৃত, ঙাহ অবশুই অসম্পূর্ণ। ধৰ্ম্ম এই উভয়-বিষয়ক হওয়াই আবহ্যক । অনন্তেব যে ভাগ জামাদিগের এই জ্ঞানের ভিতর দিয়া অমুভব করিতেছি, Ꮍby o