পাতা:রাজযোগ.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র যাহা দেশকালনিমিত্তরূপ চক্রের ভিতর আসিয়া পড়িয়াছে, ধৰ্ম্মের যে অংশ ইহার বিষয় লইয়া ব্যাপৃত, তাহা আমাদের সহজে বোধগম্য হয়, কারণ, আমরা ত পুৰ্ব্ব হইতেই উহার বিষয় জ্ঞাত আছি, আর এই জগতের ভাব একরূপ স্মরণাতীতকাল হইতেই আমাদের পরিচিত। কিন্তু উহার যে অংশ অনন্তের বিষয় লইয়া ব্যাপৃত, তাহা আমাদের পক্ষে সম্পূর্ণ নূতন, সেইজন্য উহার চিন্তায় মস্তিষ্কের মধ্যে নুতন প্রণালী গঠিতহইতে থাকে, উহাতে সমুদয় শরীরটাই যেন উলটিয়া পালটিয়া যায় ; সেইজন্ত সাধন করিতে গিয়া সাধাবণ লোকে প্রথমটা যেন আপনাদের চিবাভ্যস্ত পথ হইতে বিচু্যত হইয় পড়ে। যথাসম্ভব এই বিঘ্ন বাধাগুলি যাহাতে না আইসে, তজ্জন্তই পতঞ্জলি এই সকল উপায় আবিষ্কার কবিয়াছেন, যাহাতে আমরা উহাদিগের মধ্য হইতে বাছিয়া লইয়া যেটি আমাদিগের সম্পূর্ণ উপযোগী, এমন যে কোন একটি সাধন-প্রণালী অবলম্বন করিতে পারি। & বিষয়বর্তী বা প্রবৃত্তিরুৎপন্ন মনসঃ স্থিতিনিবন্ধনী ॥ ৩৫ ॥ সূত্রার্থ—যে সকল সমাধিতে কতকগুলি অলৌকিক ইন্দ্রিয়বিষয়ের অনুভূতি হয়, তাহারা মনের স্থিতির কারণ হইয়া থাকে। e ব্যাখ্যা। ইহা ধারণা অর্থাৎ একাগ্রত হইতেই আপনা আপনি আসিতে থাকে ; যোগীরা বলেন, যদি নাসিকাগ্রে মন o כ"ל מ