পাতা:রাজযোগ.djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ একাগ্র করা যায়, তবে কিছু দিনের মধ্যেই অদ্ভুত সুগন্ধ অনুভব করা যায়। জিহামূলে এইরূপে মনকে একাগ্র করিলে, সুন্দর শব্দ শুনিতে পাওয়া যায়। জিহবাগ্রে এইরূপ করিলে দিব্য রসাস্বাদ হয়, জিহবা-মধ্যে সংযম করিলে বোধ হয় যে, যেন কি এক বস্তু স্পর্শ করিলাম। তালুতে সংযম করিলে দিব্যরূপ সকল দেখিতে পাওয়া যায়। কোন অস্থিরচিত্ত ব্যক্তি যদি এই যোগের কিছু সাধন অবলম্বন করিয়াও উহাব সত্যতার সন্দিহান হয়, তখন কিছুদিন সাধনার পর এই সকল অনুভূতি হইতে থাকিলে আবে তাহার সন্দেহ থাকিবে না, তখন সে অধ্যবসায়সহকারে সাধন করিতে থাকিবে। বিশোকা বা জ্যোতিষ্মতী ॥ ৩৬ ॥ সূত্রার্থ।—শোকরহিত জ্যোতিষ্মান পদার্থের (বিষয়বতী হার্দাকাশ অথবা অস্মিতা ) ধ্যানের দ্বারাও সমাধি হয়। ব্যাখ্যা। ইহা অার এক প্রকার সমাধি। এইরূপ ধ্যান কর ষে, হৃদয়ের মধ্যে যেন এক পদ্ম রহিয়াছে ; তাহার কণিকা অধোমুখী ; উহার মধ্য দিয়া স্বযুম্না গিয়াছে। তৎপরে পূরক কর, পরে রেচক করিবার সময় চিন্তা কর যে, ঐ পদ্ম কণিকাব সহিত উৰ্দ্ধমুখ হইয়াছে, আর ঐ পদ্মের মধ্যে মহাজ্যোতিঃ রহিয়াছে। ঐ জ্যোতির ধ্যান কর। বীতরাগবিষয়ং বা চিত্তম ॥ ৩৭ ॥ , সূত্রার্থ।—অথবা যে হৃদয় সমুদয় ইন্দ্রিয়বিষয়ে א לצ