পাতা:রাজযোগ.djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র হইলে তাহাকে অর্থ বলে। তৎপরে চিত্তেতে এক প্রতিক্রিয়াপ্রবাহ আইসে, উহাকে জ্ঞান বলা যায় । যাহাকে আমরা বাহবস্তুর অনুভূতি বলি, তাহ প্রকৃতপক্ষে এই তিনটির সমষ্টি (সংকীর্ণ) মাত্র । আমরা এ পর্য্যন্ত যত প্রকার সমাধিব কথা পাইয়াছি, তাহার সকল গুলিতেই এই সমষ্টিই আমাদের ধ্যেয় । ইহার পরে যে সমাধির কথা বলা হইবে, তাহা অপেক্ষাকৃত cså i স্মৃতিপরিশুদ্ধে স্বরূপশূন্থোবার্থমাত্রনির্ভাস নিৰ্ব্বিতর্কা ॥ ৪৩ ৷ সূত্রার্থ।—যখন স্মৃতি শুদ্ধ হইয়া যায়, অর্থাৎ স্মৃতিতে আর কোন গুণসম্পর্ক থাকে না, যখন উহা কেবল ধ্যেয় বস্তুর অর্থমাত্র প্রকাশ করে, তাহাই নিৰ্ব্বিতৰ্ক অর্থাৎ বিতর্কশূন্ত সমাধি। ব্যাখ্যা। পূৰ্ব্বে যে শব্দ, অর্থ ও জ্ঞানের কথা বলা হইয়াছে, এই তিনটির একত্রে অভ্যাস করিতে করিতে এমন এক সময় আইসে, যখন উহার আর মিশ্রিত হয় না, তখন আমরা অনায়াসে এই ত্ৰিবিধ ভাবকে অতিক্রম করিতে পারি । এক্ষণে প্রথমতঃ, এই তিনটি কি, আমরা তাহা বুঝিতে বিশেষ চেষ্টা করিব। এই চিত্ত রহিয়াছে, পূর্বের সেই হ্রদের উপমার কথা স্মরণ কর, হ্রদকে মনস্তত্ত্বের সহিত তুলনা করা হইয়াছে, আর শব্দ বা বাক্য অর্থাৎ বস্তুর কম্পন যেন উহার উপর একটি প্রবাহের ন্যায় আসিতেছে। তোমার ➢tyዓ