পাতা:রাজযোগ.djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র সূত্রার্থ –এই সমাধিজাত ( জ্ঞান ও ক্রিয়া ) সংস্কার অন্যান্ত সংস্কারের প্রতিবন্ধী হয় অর্থাৎ অন্যান্য সংস্কারকে আব আসিতে দেয় না । ব্যাখ্যা। আমরা পূৰ্ব্বস্বত্রে দেখিয়াছি যে, সেই জ্ঞানাতীত ভূমিতে যাইবার একমাত্র উপায়—একাগ্রতা। আমবা আরো দেখিয়াছি, পূৰ্ব্বসংস্কারগুলিই কেবল আমাদিগের ঐ প্রকার একাগ্ৰতা লাভের প্রতিবন্ধক। তোমরা সকলেই লক্ষ্য কবিয়াছ যে যখনই তোমরা মনকে একাগ্র.কবিতে চেষ্টা কব, তখনই তোমাদের নানাপ্রকাব চিন্ত আইসে। যখনই ঈশ্ববচিস্তা করিতে চেষ্টা কর, ঠিক সেই সময়েই ঐ সকল সংস্কার জাগিয়া উঠে। অন্য সময়ে তাহাবা তত প্রবল থাকে না, কিন্তু যখনই উহাদিগকে তাড়াইবার চেষ্টা কর, তখনই উহারা নিশ্চয়ই আসিবে, তোমার মনকে যেন একেবারে ছাইয়| ফেলিবার চেষ্টা করিবে । ইহার কাবণ কি ? এই একাগ্রতা অভ্যাসের সময়েই ইহার এত প্রবল হয় কেন ? ইহার কাৰণ এই, তুমি উহাদিগকে দমন করিবার চেষ্টা করিতেছ বলিয়াই উহারা উহাদের সমুদয় বল প্রকাশ করে। অন্যান্ত সময়ে উহারা শুরূপ ভাবে বল প্রকাশ কবে না। এ সকল পূৰ্ব্বসংস্কারের সংখ্যাই বা কত! চিত্তের কোন স্থানে উহার জড় হইয়া রহিয়াছে, আর ব্যান্ত্রের স্তায় লম্ফ প্রদান করিয়া আক্রমণের জন্ত যেন সৰ্ব্বদা প্রস্তুত হইয়া রহিয়াছে । ঐ গুলিকে প্রতিরোধ করিতে হইবে, যাহাতে আমরা যে ভাবটি হয়ে > }\ー) SO