পাতা:রাজযোগ.djvu/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র প্রত্যক্ষামুভূতি ? আধুনিক বৈজ্ঞানিকগণ বলেন, উহা কেবল তাহার শরীরের ধৰ্ম্ম কিন্তু যোগীরা বলেন, উহা মনের অনুভূতি— শরীরের ভিতর দিয়া আসিতেছে মাত্র । ইহাকেই পুনর্জন্মবাদ বলে। আমরা পূৰ্ব্বে দেখিয়াছি, আমাদের সমুদয় জ্ঞান যাহাদিগকে প্রত্যক্ষ, বিচারজনিত জ্ঞান বা সহজাত জ্ঞান বলি, তাহার সমুদয়ই প্রত্যক্ষানুভূতিরূপ জ্ঞানের একমাত্র প্রণালী দিয়াই আসিতে পারে আর যাহাকে আমরা সহঙ্কাত জ্ঞান বলি, তাহ আমাদের পূর্ব প্রতক্ষানুভূতির ফলস্বরূপ, উহাই এক্ষণে অবনতভাবাপন্ন হইয়া সহজাত জ্ঞানুরূপে পরিণত হইয়াছে, সেই সহজাত জ্ঞান আবার বিচারজনিত জ্ঞানরূপে পরিণত হইয়া থাকে । সমুদয় জগতের ভিতরেই এই ব্যাপার চলিতেছে । ইহার উপরেই ভারতের পুনর্জন্মবাদের একটি প্রধান যুক্তি স্থাপিত হইবাছে। পূৰ্ব্বানুভূত অনেক ভয়ের ংস্কার কালে এই জীবনের মমতারূপে পরিণত হইয়াছে । এই কারণেই বালক অতি বাল্যকাল হষ্টতেই তgপন আপনি ভয় পাইয়া থাকে, কারণ, তাহার মনে কষ্টের পূর্বানুভূতিজনিত সংস্কার রহিয়াছে। অতিশয় বিদ্বান ব্যক্তির ভিতরে যাহারী জানেন যে, এই শরীর চলিয়া যাইবে, যাহারা বলেন, আত্মার মৃত্যু নাই, আমাদের শত শত শরীর রহিয়াছে, সুতরাং কি ভয়, তাহাদের মধ্যেও তাহদের সমুদয় বিচারজাত ধারণী সত্বেও আমবা এই জীবনে প্রগাঢ় মমতা দেখিতে পাই । এই জীবনে মমতা কোথা হইতে আসিল ? আমরা দেখিয়াছি যে, ইহ আমাদের সহজ বা স্বাভাবিক হইয়া পড়িআছে। মােগদিগের 을 a