পাতা:রাজযোগ.djvu/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ দার্শনিক ভাষায় উহ! সংস্কাররূপে পরিণত হইয়াছে, বলা যায়। এই সংস্কারগুলি সূক্ষ্ম বা গুপ্ত হইয়া চিত্তের ভিতর যেন নিদ্রিত রহিয়াছে । এই সমুদয পূর্ব মৃত্যুর অনুভূতিগুলি, যাহাদিগকে আমরা সহজাত জ্ঞান বলি—তাহাবা যেন জ্ঞানেব নিম্ন ভূমিতে উপনীত হইয়াছে। উহাবা চিত্তেই বাস করে, আর তাহাবা যে নিক্রিয়ভাবে অবস্থান কবিতেছে, তাহা নহে, উহাবা ভিতবে ভিতবে কাৰ্য্য করিতেছে । এই চিত্তবৃত্তিগুলি অর্থাৎ যে গুলি স্থলভাবে প্রকাশিত রহিয়াছে, তাহাদিগকে আমরা বেশ বুঝিতে পারি ও অনুভব কবিতে পারি ; তাহাদিগকে সহজেই দমন কব৷ যাইতে পারে, কিন্তু এই সকল স্বল্পতর ংস্কারগুলির দমন কিরূপে হইবে ? উহাদিগকে দমন করা যায় কিরূপে ? যখন আমি কষ্ট হই, তখন আমাব সমুদয় মনটি যেন এক মহা ক্রোধেব তবঙ্গা কাব ধারণা করে । আমি উহ। অনুভব কলিতে পাবি, উহাকে দেখিতে পারি, উহাকে যেন হাতে করিয়া নাড়িতে চাড়িতে পাবি, উহার সহিত সহজেই যাহা ইচ্ছ, তাঙ্গাই করিতে পারি, উহাব সহিত যুদ্ধ করিতে পারি, কিন্তু আমি যদি মনের অতি গভীর প্রদেশে না যাইতে পারি, তবে কখনই আমি উহার মূলোৎপাটনে কৃতকাৰ্য্য হইব না । কোন লোক আমাকে খুব কড়া কথা বলিল, আমারও বোধ হইতে লাগিল যে, আমি গরম হইতেছি, সে আরও কড়া কথা বলিতে লাগিল, ত্ববশেষে আমি ক্রোধে উন্মত্ত হইয়া উঠিলাম, আত্মবিস্তৃতি ঘটিল, ক্রোধবৃত্তির সহিত যেন আপনাকে মিশাইয় ফেলিলাম। যখন সে আমাকে প্রথমে Հ eԵ