যোগসূত্র না তুমি ইচ্ছা না করিলেও ঐ ধ্যান আপনা হইতেই আইসে)— তাহা হইলে ক্রোধ, ঘৃণা প্রভৃতি বৃত্তিগুলি চলিয়া যাইবে । কুেশমূলঃ কৰ্ম্মাশয়ে দৃষ্টাদৃষ্টজন্মবেদনীয়ঃ ॥ ১২ ৷ সূত্রার্থ।—কৰ্ম্মের আশয়ের মূল এই পূৰ্ব্বোক্ত ক্লেশগুলি ; বর্তমান অথবা পরজীবনে উহারা ফল প্রসব করে । r ব্যাখ্যা । কৰ্ম্মাশয়ের অর্থ এই সংস্কারগুলির সমষ্টি । আমরা যে কোন কাৰ্য্য করি না কেন, অমনি মনে হ্রদে একটি তরঙ্গ উখিত হয়। আমরা মনে করি, ঐ কাৰ্য্যটি শেষ হইয়া গেলেই তরঙ্গটিও চলিয়া যাইবে ; কিন্তু বাস্তবিক তাহা নহে। উহা যেন স্বাক্ষা আকার ধারণ করিয়াছে মাত্র, কিন্তু তথাপি তখনও ঐ স্থানেই রহিয়াছে। যখন আমরা উহা স্মরণ করিবার চেষ্টা করি, তখনই উহা পুনৰ্ব্বার উদয় হইয়া আবার তরঙ্গাকারে পরিণত হয় । সুতরাং জানা যাইতেছে, উহা মনের ভিতর গৃঢ়ভাবে ছিল ; যদি না থাকিত, তাহা হইলে স্থতি অসম্ভব इहेउ । সুতরাং প্রত্যেক কাৰ্য্য, প্রত্যেক চিন্তা, তাহা শুভই হউক, আর অশুভই হউক, মনের গভীরতম প্রদেশে গিয়া স্বাক্ষভাব ধারণ কবে ও ঐ স্থানেই সঞ্চিত থাকে। সুখকর অথবা ছঃখকর সকল প্রকার চিন্তাকেই ক্লেশ বলে, কারণ, যোগীদিগের মতে উভয়ই পরিণামে দুঃখ প্রসব করে । ইন্দ্রিয়গণ হইতে ষে সকল মুখ পাওয়া যায়, তাহারা পরিণামে দুঃখ আনয়ন কুরিবেই করিবে । ভোগে ভোগভৃষ্ণ বাড়িয়া থাকে ; 을》》