পাতা:রাজযোগ.djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র ভোজন করে, মানুষ আবার সেই পশুমাংস ভোজন করিয়া থাকে। এই ব্যাপারটি বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলিতে গেলে, বুলিতে হইবে যে, আমবা সুৰ্য্য হইতে কিছু শক্তি গ্রহণ করিয়া উহাকে নিজেব অঙ্গীভূত করিয়া লইলাম। ইহা যদি যথার্থ হয়, তবে এই শক্তি আহরণ করিবার যে একমাত্র উপায় থাকিবে, তাহ কে বলিল ? আমরা যেরূপে শক্তি সংগ্ৰহ করি, উদ্ভিদের শক্তি ংগ্রহের উপায় ঠিক তাহা নহে ; আমরা যেরূপে শক্তি সংগ্ৰহ কবি, পৃথিবী সেরূপে করে না, কিন্তু তাহা হইলেও সকলেই কোন না কোনরূপে শক্তি সংগ্ৰহ কবিয়া থাকে। যোগীর বলেন, তাহারা কেবল মনঃশক্তিবলেই শক্তি সংগ্ৰহ করিতে পাবেন । র্তাহারা বলেন, আমরা সাধারণ উপায় অবলম্বন না করিয়াও যত ইচ্ছা শক্তি সংগ্ৰহ কবিতে পাবি। উর্ণনাভ যেমন নিজ শরীর হইতে তত্ত্ব বিস্তার করিয়া পরিশেষে এমন বদ্ধ হইয়া পড়ে যে, বাহিরে কোথাও যাইতে হইলে সেই তত্ত্ব অবলম্বন না করিয়! যাইতে পাবে না, সেইরূপ আমবাও আমাদের উপাদানীভূত পদার্থ হইতে এই স্নাযুজাল স্বষ্টি করিয়াছি, এখন আর সেই স্নায়ুপ্রণালী অবলম্বন না করিয়া কোন কাৰ্য্য করিতে পারি না। যোগী বলেন, ইহাতে বন্ধ থাকিবাব আমার প্রয়োজন কি ? এই তত্ত্বটি আর একটি উদাহরণেব দ্বারা বুঝান যাইতে পারে। আমরা পৃথিবীর চতুর্দিকে তড়িৎশক্তিকে প্রেরণ করিতে পারি, কিন্তু উহ প্রেরণ করিবাব জন্য আমাদের তারের আবগুক হয়। কেন, প্রকৃতিত বিনা তারে বহু পরিমাণে শক্তি প্রেরণ করিতেছেন। ২১৩