পাতা:রাজযোগ.djvu/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ আমরাই বা কেন না তাহা করিতে পারিব ? আমরা চতুর্দিকে মানসতড়িৎ প্রেরণ করিতে পারি। আমরা যাহাকে মন বলি, তাহা প্রায় তড়িৎশক্তির সদৃশ। স্নায়ুর মধ্যে যে এক তরল পদার্থ প্রবাহিত হইতেছে, তাহার মধ্যে যে অনেক পরিমাণে বিদ্যুৎশক্তি আছে, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই । কারণ, তড়িতের ন্তায় উহারও প্রান্তদ্বয়ে বিপরীত শক্তিদ্বয় দৃষ্ট হয় ও তড়িতের অন্তান্ত যে সকল ধৰ্ম্ম, উহাতেও সেই ধৰ্ম্মগুলি দেখা যায় । এই তড়িৎশক্তিকে এক্ষণে আমরা কেবল স্নায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়াই প্রবাহিত করিতে পারি। কিন্তু স্নাযু মণ্ডলীর সাহায্য না লইয়াই বা আমরা কেন ইহা প্রবাহিত করিতে সমর্থ হইব না ? যোগী বলেন ইহা সম্পূর্ণ সম্ভব ; শুধু সম্ভব নহে, ইষ্টা কার্য্যে পরিণত করা যাইতে পারে। আর ইহাতে কৃতকাৰ্য্য হইলে তুমি সমুদয় জগতের মধ্যেই আপনাব এই শক্তি পরিচালন করিতে সমর্থ হইবে । তখন তুমি কোন স্নায়ুমন্ত্রের সাহায্য না লইয়াই যেখানে ইচ্ছ, যে শরীবের উপর ইচ্ছা কাৰ্য্য করিতে পরিবে । যখন কোন আত্মা এই স্নায়ুযন্ত্ররূপ প্রণালীর ভিতর দিয়া কাৰ্য্য করেন, আমরা তখন র্তাহাকে জীবিত, আর এই যন্ত্রগুলির নাশ হইলেই তাহাকে মৃত বলি। কিন্তু যিনি এইরূপ স্নায়ুমন্ত্রেব সাহায্যেই হউক, অথবা তৎসাহায্যনিরপেক্ষ হইয়াই হউক, উভয় প্রকারেই কাৰ্য্য করিতে পারেন, তাহার পক্ষে জন্ম ও মৃত্যু এই দুই শব্দের কোন অর্থই নাই। জগতে যত ভিন্ন ভিন্ন প্রকার ศรีส আছে, সবই তস্মাত্রা দ্বারা রচিত, কেবল, প্রভেদ 돌》9